একশো দিনের কাজে বঞ্চিত প্রাপকদের তালিকায় ‘বেনোজল’ আটকাতে তৎপর রাজ্য সরকার। ভুয়ো জবকার্ডধারীর কাছে যাতে কোনওভাবে সরকারি টাকা না পৌঁছয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে প্রশাসন। তাই আধার সংযোগ না থাকা জবকার্ডধারীদের অস্তিত্ব যাচাই করতে ফিল্ড ভিজিট করবে প্রশাসন। সবকিছু ঠিক থাকলে, তবেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা। গত শনিবার এনিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। তাতে বঞ্চিত জবকার্ডধারীদের তালিকায় বেনোজল আটকাতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে। পূর্ণাঙ্গ চূড়ান্ত তালিকা তৈরির আগে উপভোক্তাদের সমস্ত নথিপত্র ঠিকঠাক আছে কি না, তা দেখতে একাধিকবার যাচাই করতে হবে। প্রকৃত প্রাপকরাই যাতে প্রাপ্য পারিশ্রমিক পান, তা সুনিশ্চিত করাই লক্ষ্য রাজ্য সরকারের।
১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফার সমীক্ষার কাজ শেষ হবে। তারপর বঞ্চিতদের তালিকায় আধার সংযোগ না থাকা এমন জবকার্ডধারীদের জন্য ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন শুরু হবে। প্রসঙ্গত, জবকার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগ থাকা বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে মজুরির টাকা ঢুকবে। শর্ত হল, পোর্টালে জবকার্ডধারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে আধার সংযোগ থাকতে হবে। কারণ একজন জবকার্ডধারীর একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা অস্বাভাবিক নয়। মূলত ‘ভুয়ো’ জবকার্ডধারীর অ্যাকাউন্টে টাকা যাতে না ঢোকে, তারজন্যই এই আধার সংযোগ করার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। যদিও এ-ব্যাপারে জবকার্ড-আধার সংযোগে জাতীয় গড়কেও ছাপিয়ে গিয়েছে বাংলা। সারা দেশে যেখানে এই গড় প্রায় ৭০ শতাংশ, বাংলায় তা প্রায় ৮৭ শতাংশ। বিগত কয়েকদিন ধরে বঞ্চিত জবকার্ড হোল্ডারদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঠিকঠাক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা করছিল প্রশাসন। এবার ১০০ দিনের বকেয়া টাকা প্রাপকদের তালিকায় যাঁদের আধার সংযোগ করা নেই, তাঁদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। যদিও সেই সংখ্যাটা অনেকটাই কম বলে দাবি করছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন- পক্ষপাতদু.ষ্ট-ভিত্তিহীন! সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যপালের রিপোর্টকে নস্যাৎ করলেন কুণাল