মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর দাবি মিথ্যে বলে জানালেন সেদেশে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদ ৷ সম্প্রতি মুইজ্জু দাবি করেন, ভারত তাদের দেশে কয়েক হাজার সশস্ত্রবাহিনী এখনও মোতায়েন করে রেখেছে ৷ মুইজ্জুর সেই দাবিকেই এবার ‘আরও একটি মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ৷ তাঁর মতে, কোনও বিদেশি সেনার সশস্ত্রবাহিনী তাদের দেশে নেই ৷

মালদ্বীপের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদ সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ১০০ দিন হল, আর এটা স্পষ্ট যে, প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর ‘কয়েক হাজার ভারতীয় সেনার’ উপস্থিতির দাবি অনেকগুলি মিথ্যার মধ্যে একটা ৷ সুনির্দিষ্ট সংখ্যা প্রদান করতে না পারার অক্ষমতা থেকে এই কথাগুলি বলছে বর্তমান প্রশাসন ৷ দেশে বিদেশি সেনার কোনও সশস্ত্রবাহিনী নেই ৷ তিনি এও উল্লেখ করেন, স্বচ্ছতা আবশ্যক ও সত্যিটা সামনে আনতে হবে ৷তিনি বলেন, স্বচ্ছতা বজায় রাখা আবশ্যক এবং সত্যি অবশ্যই সামনে আসা উচিত ৷

উল্লেখ্য, মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করা প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মুইজ্জুর দলের ৷ এই মুহূর্তে মালদ্বীপে মাত্র ৭০ জন ভারতীয় সেনা রয়েছে ৷ সঙ্গে ডরনিয়ার ২২৮ সামুদ্রিক টহলদারি বিমান ও দু’টি হ্যাল ধ্রুব হেলিকপ্টার রয়েছে ওই দ্বীপ রাষ্ট্রে ৷ আর প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর দ্বিতীয় দিনে মুইজ্জু সরকারিভাবে ভারতকে মালদ্বীপ থেকে তাদের সেনা সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেন ৷ এরপর গতবছর মুইজ্জু দাবি করেন, ভারত সরকারের সঙ্গে কথা হওয়ার পর সেনাবাহিনী প্রত্যাহার জন্য একটি চুক্তি হয়েছে তাদের মধ্যে ৷

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেছিলেন যে, ভারতের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা জারি রয়েছে ৷ কবে, কোথা থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে, সে নিয়েও বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছিলেন মহম্মদ মুইজ্জু ৷ তিনি জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের ১০ মার্চের মধ্যে তিনটি অ্যাভিয়েশন প্ল্যাটফর্মের একটি থেকে ভারত সেনা সরিয়ে নেবে ৷ বাকি দু’টি অ্যাভিয়েশন থেকে ২০২৪ সালের ১০ মে-র আগে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে ভারত ৷ কিন্তু, ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়ে দেয়, মালদ্বীপের বিমান চলাচলের প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রযুক্তির দিক থেকে দক্ষ ভারতীয় সদস্যদের মোতায়েন করা হবে ৷
