বেশ কিছু পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ধাক্কা সামলানোর আগেই সরকারের তরফ থেকে বিশাল অঙ্কের জরিমানায় বেসামাল অনলাইন টাকা লেনদেন সংস্থা পেটিএম (Paytm)। তারপরই শনিবার শেয়ার মার্কেটে বিরাট পতন এই সংস্থার। মার্চের ১৫ তারিখের আগে সরকারি অভিযোগ সামাল দিতে ইতিমধ্যেই শেয়ার হোল্ডারদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে পেটিএম। তবে তারপরেও কীভাবে ভারতের বাজারে টিকে থাকবে সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ লেনদেন সংস্থার কাছে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) লেনদেন বন্ধের নির্দেশের পর সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগতে শুরু করে পেটিএম-এর ভবিষ্যৎ কী? ২৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট (customer account), প্রিপেড (prepaid instruments), ওয়ালেট (wallets), ফ্যাসট্যাগ (FASTag), ন্যাশানাল কমন মোবিলিটি (NCMC) কার্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে সেই দিনের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ মার্চ করা হয়। এই পরিষেবাগুলির ধাক্কা সামাল দেওয়ার জন্য সমস্ত শেয়ার হোল্ডারদের সম্মতিক্রমে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে। পেমেন্টস ব্যাঙ্ক বন্ধ হওয়ার সঙ্গে পেটিএম অ্যাপ, পেটিএম কিউআর কোড কিংবা পেটিএম সাউন্ডবক্স আর পেটিএম কার্ড মেশিনের কাজ কোনওভাবেই ব্যাহত হবে না, জানায় পেটিএম কর্তৃপক্ষ।

তবে তাঁদের যাবতীয় পদক্ষেপ এসে ধাক্কা খায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এইআইইউআই-এর (FIU-IND) জরিমানার নির্দেশে। পেটিএম-কে ৫.৪৯ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ আসার পরই শনিবার শেয়ার মার্কেটের বিশেষ বাণিজ্যিক সেশনে পেটিএম-এর শেয়ারে বিরাট পতন। শেয়ার হোল্ডারদের হাত ছাড়ার পর ১.৫ শতাংশ পতন হয় পেটিএম-এর শেয়ার। ১৫ মার্চের পর পরিষেবা সাধারণ মানুষ কী কী পেতে পারেন তা নিয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। তবে শেয়ার মার্কেটে পতন যদি লাগাতার চলতে থাকলে ১৫ মার্চের পর পেটিএম জীবিত থাকা নিয়েই সংশয় তৈরি হতে পারে।