Saturday, August 23, 2025

সামরিক ক্ষেত্রে চিন-মালদ্বীপ আরও কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত

Date:

Share post:

নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাকে সরে যাওয়ার ‘আর্জি’ জানিয়েছিল সে দেশের ‘চিনপন্থী’ সরকার। সামরিক ক্ষেত্রে মালদ্বীপকে নিঃশর্তে সহযোগিতা করবে চিন। দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়াকে আরও ‘জোরদার’ করার লক্ষ্যে সোমবারই মহম্মদ মুইজ্জুর সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সম্প্রতি,এই আবহেই এ বার সামরিক ক্ষেত্রে চিন-মলদ্বীপ আরও কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত দিল। কূটনৈতিক শিবিরের একাংশের অনুমান, বিগত কয়েক বছর ধরে নয়াদিল্লি যে সামরিক সহযোগিতার হাত মালদ্বীপের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিল, এ বার তার বিকল্প হিসাবে চিনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে মহম্মদ মুইজ্জুর সরকার।

চিনের আন্তর্জাতিক সামরিক বোঝাপড়া সংক্রান্ত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক তথা মেজর জেনারেল জিয়াং বাওকুনের সঙ্গে বৈঠক করেন মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহম্মদ ঘাসান মামুন।এরপরই সামরিক বোঝাপড়া নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী স্থির হয়, নিঃশর্তে মালদ্বীপকে সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে চিন। পরে এই চুক্তির বিষয়ে নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যদিও এই বিষয়ে দুই পক্ষই মুখে কুলুপ এঁটেছে।জানা গিয়েছ, মালদ্বীপকে ১২টি ‘পরিবেশবান্ধব’ অ্যাম্বুল্যান্স উপহার দিয়েছে চিন। সব মিলিয়ে চিন-মলদ্বীপ ঘনিষ্ঠতা যে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা স্পষ্ট। ক্ষমতায় আসার পরেই মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর জন্য সরকারি ভাবে দিল্লিকে আর্জি জানিয়েছিল মুইজ্জু সরকার। ২ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে মালদ্বীপ প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয় কেন্দ্রের।

ভারত-মলদ্বীপ টানাপড়েনের মধ্যেই চিন সফরে গিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। সেখানে গিয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে মুইজ্জু বলেছেন, মালদ্বীপের উন্নয়নে চিনের ভূমিকাই বেশি। চিনই মালদ্বীপের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় মুইজ্জু আরও বলেন, চিনই হল সবচেয়ে পুরনো বন্ধু ও ঘনিষ্ঠতম সহযোগী।

কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ভারতকে অবমাননা করার পিছনে বেজিংয়ের অদৃশ্য রিমোট কাজ করেছে। ভারতের থেকে অনেক পরে মালদ্বীপের সঙ্গে পাকাপোক্ত সম্পর্ক তৈরির কাজ শুরু করেছিল বেজিং। ২০১১ সালে সে দেশে দূতাবাস খোলে চিন। কিন্তু এর মধ্যেই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে কার্যত হাতের মুঠোয় নিয়ে নিয়েছে শি জিন পিংয়ের সরকার। সহজ সুদে ঋণ দিয়ে সেখানে একের পর এক রাস্তা ও বন্দর তৈরি করিয়েছে চিন। মলদ্বীপের বিমানবন্দর ঢেলে সাজিয়েছে।

 

spot_img

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...