দিল্লি আবগারি দুর্নীতিতে এবার মুখ্যমন্ত্রী অবরিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হিসাবে দাঁড়ানোর দাবি করলেন দেশের ‘স্বনামধন্য’ প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখর। তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা তথা বিধায়ক কে কবিতাকে গ্রেফতারের পর কেজরিওয়ালকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সুকেশ। সেদিনই কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি দেশের সেরা প্রতারকদের অঙ্গুলি হেলনে হচ্ছে, এমনটাও শনিবার সুকেশের কথায় আভাস পাওয়া গেল। এই মামলাতেই এর আগে রাজসাক্ষী হয়েছে মাগুন্টা রাঘব রেড্ডি। আর রাজসাক্ষী হওয়ার পরই এনডিএ শরিক চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি-তে যোগ দেন। এমনকি তাঁকে লোকসভায় প্রার্থী করারও পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে টিডিপি।

২০০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় যুক্ত ও প্রায় ৩০টি প্রতারণা মামলা রয়েছে যে সুকেশ চন্দ্রশেখরের নামে, তাকেই শনিবার দিল্লি আবগারি মামলায় রাউস অ্যাভেনিউ আদালতে তোলা হয়। আদালতে যাওয়ার পথে সুকেশ জানায়, “আমি সব ফাঁস করে দেব, কেজরিওয়াল ও তাঁর দলের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী আমি হবো। আমি নিশ্চিৎ করব তিনি যেন উপযুক্ত জায়গা পান”। ২০০৭ সালে প্রথমবার গ্রেফতার হওয়া সুকেশ এক সময় নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে, কখনও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিক পরিচয় দিয়েও প্রতারণায় অভিযুক্ত।

দিল্লি আবগারি মামলায় এখনও পর্যন্ত ৬০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়েছে ইডি। এই মামলায় কে কবিতার সঙ্গে কেজরির যোগ নিয়েও প্রমাণ দাখিলের প্রক্রিয়া চলছে। তবে তার কতটা দীর্ঘদিন ধরে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের মতো তারকাকে প্রতারণা করায় অভিযুক্ত তিহাড় জেলের আসামীর বয়ানের উপর নির্ভর করে, তা এখন বিচার্য। বিজেপি তথা এনডিএ-র চাপে রাঘব রেড্ডি যেভাবে রাজসাক্ষী হয়ে বিজেপি বিরোধী দলের শীর্ষনেতাদের বিরুদ্ধে মামলায় ‘সাহায্য’ করছেন, এটাও সেরকম হবে কী না প্রকাশিত হবে বিচারপর্বে।
