আদিবাসীদের জমি দখল করতেন শেখ শাহজাহান। তার পর টাকার বিনিময়ে সেই জমি অন্যদের ব্যবহার করতে দিতেন! আদালতে সোমবার এমনই দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিন ইডির বিশেষ আদালতে হাজির করানো হয় শাহজাহানকে।কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে, সন্দেশখালিতে সিন্ডিকেট চালাতেন শাহজাহান। সেই সিন্ডিকেটের ‘কিংপিন’ তিনি নিজেই। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠদের এই সিন্ডিকেটের সদস্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষ নিজেদের ভেড়ির মালিক দেখিয়েও উপার্জন করেছেন বলে দাবি ইডির। তাদের আরও দাবি, জমি দখলের কালো টাকা চিংড়ির ব্যবসার মাধ্যমে সাদা করা হত। টাকাটা চিংড়ি ব্যবসার লেনদেন হিসাবে দেখানো হত। সেই ব্যবসা শাহজাহানের মেয়ে শেখ সাবিনার নামে চলত।

ইডির দাবি, চিংড়ি বেচা-কেনা করে দুর্নীতির টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।গোটা বিষয়টাই নগদে হত বলে দাবি ইডির আইনজীবীর।কীভাবে কালো টাকা সাদা করা হত, সেই সংক্রান্ত তথ্যও এদিন আদালতে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী।একটি সংস্থার নামও এদিন আদালতে জানান কেন্দ্রীয় এজেন্সির আইনজীবী। সেই সংস্থার মাধ্যমেই টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকানো হত।এইভাবেই কালো টাকা সাদা করা হত বলে জানান ইডির আইনজীবী।

তিনি বলেন, ‘শুধু সন্দেশখালি নয়, গোটা ভারতের স্বার্থে শাহজাহানকে ইডি হেফাজতে পাঠানো হোক।’ সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে আদালত। শাহজাহানকে ইডির হেফাজতে পাঠিয়েছে। ১৩ এপ্রিল পরবর্তী হাজিরার নির্দেশ।

এ দিকে এদিন আদালতের লকআপে প্রবেশের সময় ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে হোঁচট খান শাহজাহান।সে সময় আইনজীবীদের একাংশ তাঁর ফাঁসি চেয়ে স্লোগান তোলেন। তাঁকে দুষ্কৃতী বলেও তোপ দাগেন।

আরও পড়ুন- হেফাজতে রেখে কি আর জেরার প্রয়োজন আছে? পার্থকে নিয়ে ইডি-কে প্রশ্ন হাইকোর্টের
