লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election) নেতা-কর্মীদের এককাট্টা হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিধানসভা ধরে ধরে সাংগঠনিক বৈঠক করছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এর আগে নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার লোকসভা নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানেও একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। বেঁধে দিয়েছেন জয়ের মার্জিনের টার্গেট। সোমবার উত্তরের সাংগঠনিক বৈঠক থেকেও দ্বন্দ্ব মিটয়ে একজোট হয়ে ময়দানে নামার বার্তা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার, কোচবিহার নিয়ে সাংগঠিক বৈঠকে বসছেন অভিষেক। তার আগে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেন তিনি।

উত্তরবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সোমবার সকালেই শিলিগুড়ি পৌঁছে যান অভিষেক। সেখানে বিকেলে প্রথমে তিনি আলিপুরদুয়ার জেলা নেতৃত্বে সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং-সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক হয়। মঙ্গলবার সকালে, রাসমেলার মাঠে অভিষেকের হেলিকপ্টার নামে। সেখান থেকে অভিষেক সোজা চলে যান মদনমোহন মন্দিরে। সেখানে পুজো দেন। এরপর নিউটাউন এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তৃণমূলের নির্বাচনী কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।


মুখে কোচবিহারে (Coochbehar) পরপর জনসভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে মঙ্গলবার কোচবিহারে এলেন অভিষেক। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিধানসভা ধরে ধরে সাংগঠনিক বৈঠক করছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এর আগে নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার লোকসভা নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানে একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দেন অভিষেক। একই সঙ্গে রাজ্য সরকার এবং তাঁর সংসদীয় তহবিলে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। সোমবার, বিকেল ৫টা থেকে সাংগঠনিক বৈঠকে বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে আলিপুরদুয়ার জেলা নেতৃত্ব, এরপর কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও পরে দার্জিলিং জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয়। সবকটি বৈঠকেই মূল সুর ছিল উত্তরের হারানো জমি ফেরাতে হবে। আর এই কারণে দীর্ঘ বৈঠকে অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, সব দ্বন্দ্ব, মতানৈক্য মিটিয়ে ফেলতে হবে। এককাট্টা হয়ে লড়াইতে নামতে হবে। তৃণমূল স্তর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ স্তরের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে ১০০ শতাংশ কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন: ‘অসত্য বিজ্ঞাপন’ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে যোগগুরু রামদেব


অভিষেকের কথায়, নজর থাকবে বুথে। প্রতি বুথে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। তাহলেই কাঙ্খিত জয় আসবে। জয় মানে বিজেপির মতো মিথ্যাচার করে জয় নয়। মানুষের কাছে যেতে হবে। অভিযোগ শুনতে হবে। অভিযোগ শুনে ফিরে এলে চলবে না। তার সমাধান করতে হবে। তিনি নিজেও সেটা করেন। সারা রাজ্যে যেখানে মানুষ তাঁকে অভাব অভিযোগের কথা বলে, সেখানে সাধ্য মতো দ্রুত তা সমাধান করে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেন- এটা এখন জেনে গিয়েছে বাংলার মানুষ। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর থেকে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলাপরিষদ বা পুরসভায় কোনও সমস্যা থাকলে তা অবিলম্বে মেটানোর তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর মতে, তাহলেই ভোটে জেতা স্বার্থক। তার কারণ, মানুষের কাজ করার জন্যই প্রতিনিধি নির্বাচন।

২০১৯ সালে কোচবিহার কেন্দ্র থাকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। বর্তমানে তিনি বিদায়ী মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বাসুনিয়া। এই কেন্দ্রের ঘাসফুলের জমি শক্ত করতে আজ অভিষেক (Abhishek Banerjee) কী বার্তা দেবেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে দল।
