মঙ্গলবার থেকেই বর্ধিত হারে ঢুকতে শুরু করেছে লক্ষীর ভান্ডারের টাকা। আর সেই খুশিতেই আত্মহারা হুগলি জেলার মহিলারা। এদিন তাঁরা লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে, আবির মেখে মেতে উঠলেন মহিলারা।

বাংলার সব মহিলাই যাতে ‘হাত খরচের’ টাকা পান সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। ২০২৪ রাজ্য বাজেটে এবার এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিরাট ঘোষণা করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতা ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ১০০০ টাকা এবং জনজাতি মহিলাদের জন্য ভাতা বাড়িয়ে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা করা হয়। ১ এপ্রিল ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকার কারণে ২ এপ্রিল থেকেই বর্ধিত হারে সেই টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। এদিন বৈদ্যবাটি পৌরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের পাশাপাশি ২০ নম্বর ওয়ার্ডে পৌর সদস্য হরিপদ পাল, বৈদ্যবাটি শেওড়াফুলি শহর তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী পৌষালী ভট্টাচার্যও এলাকার মহিলাদের সঙ্গে এই শোভাযাত্রায় সামিল হন। হরিপদ পাল বলেন, মমতা এবং মোদি দুজনই ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ১০০০ করেছেন, দিদি লক্ষী ভান্ডার ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১০০০ করেছেন এবং মোদি গ্যাসের দাম ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১০০০ করেছেন, যে জনদরদী তার পাশে থাকুন। বাংলার আপামর জনতার কাছে আমি এই আবেদন রাখলাম।

বৈদ্যবাটি শেওড়াফুলি শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পৌষালী ভট্টাচার্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এককালীন টাকাটা বাড়িয়ে দিলেন বাংলার মা বোনেদের জন্য, এটার জন্যই আজকে সারা রাজ্য জুড়ে বিজয় উৎসব পালন করা হচ্ছে। পৌর প্রধান পিন্টু মাহাতো বলেন “৫০০ থেকে ১০০০ এবং ১০০০ থেকে ১২০০, আজকে আমরা এই দিনটাকে বিজয় উৎসব হিসেবে পালন করছি। অপরদিকে সিঙ্গুরের মহিলারাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে সবুজ আবির লাগিয়ে নিজেরাও সবুজ আবির খেলে আনন্দে মেতে ওঠেন।

আরও পড়ুন- অভিযুক্ত দীপক শর্মাকে সাসপেন্ড করল AIFF
