Wednesday, November 12, 2025

প্রচন্ড গরমেও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে সুদীপের বর্নাঢ্য পদযাত্রায় কর্মী সমর্থকদের ঢল

Date:

Share post:

ভোটের আবহ বা জৌলুস সবচেয়ে বেশি টের পাওয়া যায় বড় শহরগুলিতে। প্রাণকেন্দ্র কলকাতা রাজনৈতিকভাবে বেশ সচেতন। বড় বড় হোর্ডিং, ব্যানার বিজ্ঞাপন কিংবা অভিনব প্রচার, অনেকটাই দেখা যায় শহরাঞ্চলে। কলকাতা উত্তর এমনই এক কেন্দ্র, যেখানে শুধু রাজনৈতিক সচেতনতাই নয়। নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টর রয়েছে। ধর্মীয় ভাবাবেগ, সাংস্কৃতিক পরিবেশ ভোটারদের উপর প্রভাব ফেলে। যে কারণে প্রতিটি রাজনৈতিক দল এই কেন্দ্রে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, জনপ্রিয়, একইসঙ্গে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দুঁদে ব্যক্তিত্বকে জনপ্রতিনিধির লড়াইয়ে নামাতে তৎপর থাকে দলগুলি।
তৃণমূলের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হাতের তালুর মতো চেনেন এই কেন্দ্র।সোমবার প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বর্নাঢ্য পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হল। কয়েক শো তৃণমূল কর্মী -সমর্থক এই পদযাত্রায় অংশ নেই। ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। রাজাবাজার পর্যন্ত এই পদযাত্রা হয়। হুডখোলা গাড়ি থেকে ভোটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রার্থী স্বয়ং।পদযাত্রায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এই কেন্দ্রে জেতার বিষয়ে কনফিডেন্ট সুদীপ। যদিও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তাপস রায় এই কেন্দ্রে পদ্ম শিবিরের প্রার্থী। সুদীপ অবশ্য তাকে পাত্তা দিতে রাজি নন। তিনি এই বিষয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করতে নারাজ। বরং তিনি বলেন, অনেক কিছু রটনা হচ্ছে। আমাদের মধ্যে কোনও ঝামেলা নেই। সবাই এক হয়ে ভোটের কাজ করছে। না হলে এই গরমের মধ্যেও এত মানুষ পদযাত্রায় অংশ নিতেন না।

প্রসঙ্গত, কলকাতার উত্তরাংশ অর্থাৎ এই লোকসভা কেন্দ্রের জনবিন্যাস একেবারেই মিশ্রিত। এখানে হিন্দু বাঙালির পাশাপাশি বিহারী, মাড়োয়ারি অর্থাৎ বাংলার বাইরের মানুষজনের বসবাস রয়েছে। সেই সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ। এছাড়া কোনও কোনও এলাকা মুসলিম, অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের গড়। ফলে মিশ্র জনবসতিই এখানকার বিশেষত্ব। তফসিলি জাতি-উপজাতি মিলিয়ে সেই জনসংখ্যা প্রায় ৫ শতাংশ। তবে ৪ জুন যে সুদীপ ফের জয়ের হাসি হাসবেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত কর্মী সমর্থকরাও।




spot_img

Related articles

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...

সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে চালু হচ্ছে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি নবান্নের 

সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকিতে আরও স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশে এবার থেকে রাজ্যের...

মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি! ‘নারীবিদ্বেষী’ শান্তনু ঠাকুরের ইস্তফার দাবি তৃণমূলের

বিজেপি বাংলাকে সম্মান করে না। এই বিজেপি মহিলাদেরও সম্মান করে না, করতে জানেও না। সেটা আরও একবার প্রমাণ...