রাজ্যে চতুর্থ দফায় ১৩ মে ভোট গ্রহণ বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে। আর এবার সেই বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর। ইতিমধ্যেই তিনি মনোনয়ন দাখিল করেছেন। গোটা বীরভূম জুড়ে প্রচারও করছেন। আবার দলের নির্দেশে বিজেপির দ্বিতীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেন দেবতনু ভট্টাচার্য। আজ, বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বীরভূম জেলাশাসকের দফতরে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ার জন্য মনোনয়ন দাখিল করেন তিনি।

স্বাভাবিকভাবেই একই আসনে বিজেপির ২ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিলের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। মনোনয়ন দাখিল করে যদিও দেবতনু ভট্টাচার্যের দাবি, দলের নির্দেশেই মনোনয়ন দাখিল করেছেন তিনি। দল তাঁকে মনোনয়ন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। আর সেই কারণেই তিনি মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন তাঁরা। তাই বীরভূম কেন্দ্রে দ্বিতীয় প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, “অনেক কলকাঠি নাড়া হচ্ছে। তাই দ্বিতীয় প্রার্থী এদিন মনোনয়ন দিলেন।”

জানা গিয়েছে, দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের বিভাগীয় তদন্ত চলছে। পাশাপাশি তিনি ইস্তফা দিলেও নবান্ন থেকে এখনও তাকে রিলিজ দেয়নি। গত বিধানসভা ভোটে কোচবিহারে শীতলখুচি এলাকায় গুলি চলার সময়ে সেখানে পুলিশ সুপার ছিলেন দেবাশিস। তারপর তাঁকে সরিয়ে দেয় নবান্ন। কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে।

আরও পড়ুন- ‘উত্তরাধিকার কর’ নিয়ে মোদির তোপ, পাল্টা জবাব কংগ্রেসের

প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে বিজেপি। আর বিজেপির এই ঘোষণার পরই বিতর্ক ছড়ায়। ২০২১-এ বিধানসভা ভোটের সময় শীতলকুচিতে গুলি চলার ঘটনা ও গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়ায় দেবাশিস ধরের। সেই দেবাশিস ধরকেই বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পর বার বারই তাঁর উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব। এমনকি বীরভূম কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় দাবি করেন, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি রয়েছে দেবাশিষ ধরের। সিাআইডি-র আতস কাচের তলায় আছেন দেবাশিস ধর। সবমিলিয়ে বীরভূমে বিজেপির দুই প্রার্থীকে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
