পরীক্ষার খাতায় কিছু না লিখে শুধু জয় শ্রীরাম লিখলেও ৫০-এর উপরে নম্বর পাওয়া যায়। বিজেপি জমানায় উত্তর প্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার এই পরিণতিতে শেষমেশ তদন্তের নির্দেশ দিতে বাধ্য হল উত্তর প্রদেশ রাজভবন। এক প্রাক্তন ছাত্রের আরটিআই-এর ভিত্তিতে যে উত্তর পত্র বেরিয়ে আসে তাতে দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হয়। বারবার বিজেপি নেতৃত্ব বিভিন্ন বিরোধী শাসিত রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে যে প্রশ্ন তোলেন, সেই যোগীরাজ্যেই শিক্ষা ব্যবস্থা কোন পর্যায়ে তার নিদর্শন এই ঘটনা। তবে শিক্ষা ব্যবস্থার মূল ভিত্তির কতটা গভীরে ধর্মীয় বিশ্বাস উত্তর প্রদেশে জায়গা পেয়েছে তা এই ঘটনায় আবারও প্রমাণ মেলে।

উত্তর প্রদেশের বীর বাহাদুর সিং পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের চার পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রের বিভিন্ন জায়গায় জয় শ্রীরাম ও বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের নাম লেখেন। তাঁরা ৫০-এর বেশি নম্বরও পান। পরে আরটিআই-এর উত্তরে যে উত্তরপত্র বেরিয়ে আসে তা পুণর্মূল্যায়ন করা হয়। তাতে চার পরীক্ষার্থীই শূন্য পান। অর্থাৎ ফার্মাসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার খাতায় কিছু লিখে না এসেই ৫০-ঊর্ধ্ব নম্বর পেয়ে তাঁরা পাশ করে গিয়েছিলেন।
আরটিআই-এর দাবি জানানো আবেদনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যের রাজ্যপালের কাছেও এই ঘটনায় তদন্ত দাবি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি অবশ্য এই পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করার সুপারিশ করেছে। আরটিআই-এর জেরে এই তথ্য সামনে না আসলে এভাবেই শিক্ষায় কারচুপি করে পার পেয়ে যেতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চার পরীক্ষার্থী।
