বিজেপি ২০০ থেকে ২২০! লোকসভায় বড় ধাক্কার ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর স্বামীর

উত্তর ভারত ও উত্তরপূর্ব ভারত মিলিয়ে ৬৫ থেকে ৭৫ আসন হারাতে চলেছে বিজেপি। গোটা দেশের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াবে অন্তত ৯০ থেকে ১০২

বিজেপির জন্য উদার মনে আসন সংখ্যা গুণলেও এই লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ১০২টি আসন হারাতে চলেছে মোদির নেতৃত্বাধীন দল। যার অর্থ ‘চারশো পারের’ দুঃস্বপ্ন মুছে অন্তত ২০০ আসন ধরে রাখাই কঠিন হবে বিজেপির জন্য। এমনটাই নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন হিসাব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের স্বামী পারাকালা প্রভাকর। তাঁকে গণনা অনুযায়ী এনডিএ জোট আটকে যাবে ২৫৫ থেকে ২৬৫ আসনের মধ্যে। যা থেকে স্পষ্ট ম্যাজিক নম্বর ২৭২ ছুঁতে পারবে না এনডিএ।

অর্থনীতিবিদ তথা লেখক পারাকালা প্রভাকর বেশ কিছু আগে মোদি সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে কংগ্রেস সরকারে অপশাসন, দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে ক্ষমতায় আসা মোদি সরকার ২০১৯ সালেও পুলওয়ামা ও বালাকোটকে সামনে রেখে নিজেদের ভোটের হার যেভাবে বাড়াতে পেরেছিল, ২০২৪ সালে সেটাই কমবে। শুধুমাত্র হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার জন্য মূলত হারতে হবে বিজেপিকে, এমনটাই দাবি প্রভাকরের। সেই সঙ্গে দেশে বেকারত্বের পরিমাণ ব্যাপক বেড়ে যাওয়া, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোদি জমানায় এতটুকুও উন্নতির আশা না দেখাতে পারায় দেশের ক্ষমতা হারাতে চলেছে বিজেপি, এমনটা ব্যাখ্যা অর্থনীতিবিদ নির্মলা সীতামরণের স্বামী আরেক অর্থনীতিবিদের।

প্রভাকরের যুক্তিতে বিজেপির আসন সংখ্যা কমার একটা বড় প্রভাব এনডিএ জোটের উপরও পড়বে। এমনতিই ছোট দলগুলির সঙ্গে জোটের বিষয়টি ধোঁয়াশার মত রয়েছে। এমনকি দক্ষিণ ভারতের একটা বড় অংশে এনডিএ জোটের অনেক শরিকই খাতা খুলতে পারবে না বলে দাবি প্রভাকরের। সেই কারণেই দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে পঞ্চাশ শতাংশ আসন হারাবে বিজেপি। আবার উত্তর ভারত ও উত্তরপূর্ব ভারত মিলিয়ে ৬৫ থেকে ৭৫ আসন হারাতে চলেছে বিজেপি। গোটা দেশের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াবে অন্তত ৯০ থেকে ১০২ আসন। বিজেপির প্রতি সম্পূর্ণ ভরসা রেখেই যে পরিসংখ্যান তিনি দিয়েছেন সেই সংখ্যা আরও কমতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রভাকর।

একটি সাক্ষাৎকারে রীতিমত প্রত্যেক রাজ্য ধরে বিজেপির প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা তুলে ধরে প্রভাকরের ব্যাখ্যা বিজেপির আসন সংখ্য়া ২০০ থেকে ২২০-র মধ্যে আটকে যাবে। যে হিসাব তিনি দিয়েছেন সেই তালিকা এই রকম:
অন্ধ্রপ্রদেশ – ১
তেলেঙ্গানা – ৪
তামিলনাড়ু – ০
কেরালা – ০
কর্ণাটক – ১১
উত্তরপ্রদেশ – ৫০
বিহার – ১০
মধ্যপ্রদেশ – ২৫
রাজস্থান – ১৯
ছত্তিশগড় – ৪
ঝাড়খণ্ড – ৬
হরিয়ানা – ৩
দিল্লি – ২
মহারাষ্ট্র – ১১
পশ্চিমবঙ্গ – ১৩
ওড়িশা – ৬