লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আবহে ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী নীতীশ গড় বিহার (Bihar)। এবার পুলিশের হেফাজতেই (Police Custody) আত্মঘাতী যুগল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলার এই পড়শি রাজ্য। অভিযোগ, পুলিশের মারধর এবং নজরদারির অভাবেই হেফাজতে থাকাকালীন আত্মঘাতী হয়েছেন দু’জন। বিহারের (Bihar) আরারিয়া জেলার তারাবাড়ি গ্রামের ঘটনা।

ঠিক কী ঘটেছিল?

স্থানীয় সূত্রে খবর, বিহারের এক নাবালিকাকে বিয়ে করার অপরাধে বিয়ের আসর থেকেই বরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। কনেকেও আটক করা হয়েছিল। খবর চাউর হতেই বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা থানায় আগুন লাগিয়ে দেয় বলে খবর। পুলিশের অভিযোগ, দিন দুয়েক আগে গ্রামের ১৪ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ে করেন অভিযুক্ত যুবক। কিন্তু বছর দেড়েক আগে ওই কিশোরীর দিদির সঙ্গেও যুবকের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর নিজের নাবালিকা শ্যালিকাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন যুবক। শ্যালিকার বিয়ের বয়স না হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের চার হাত এক হয়। খবর কানে পৌঁছতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বর এবং কনেকে বিয়ের আসর থেকে থানায় নিয়ে আসে। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, থানায় নিয়ে গিয়েই বর এবং কনেকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। তার পর জেলেই কাপড় ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে যুগল।

তবে পুলিশের নজরদারির অভাব ও মারের হাত থেকে বাঁচতেই থানার ভিতর এমন একটি কাণ্ড ঘটেছে, অভিযোগ স্থানীয়দের। ইতিমধ্যে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে, যেখানে দেখা যায়, থানার লক-আপ বেয়ে উঠছেন এক যুবক। তারপর গলায় দড়ি দিচ্ছেন। যদিও এটি ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ। আর সেই ভাইরাল ভিডিও দেখে গ্রামের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা একসঙ্গে গিয়ে থানা ঘেরাও করেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর ছোড়ার পাশাপাশি উত্তেজিত জনতা থানায় ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। তার পর থানায় আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়।
