রাজভবনে অস্থায়ী কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ কাণ্ডে অভিযোগকারিণীকে জোর করে আটকে রাখার অভিযোগে থানায় তলব ৩ কর্মীকে। এবার আরও চাপে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। অভিযোগকারিণীকে জোর করে আটকে রাখার অভিযোগে ওই ৩ কর্মীর বিরুদ্ধে ১৬৬ ও ৩৪১ ধারায় শুক্রবার, হেয়ার স্ট্রিট (Hare Street) থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

তরুণীর অভিযোগ, ঘটনার দিন তাঁকে ঘরে ডাকার পর, সুপারভাইজারকে সঙ্গে নিয়ে গেল তাঁকে বের করে তরুণীর শ্লীলতাহানি করেন আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। কনফারেন্স রুম থেকে বেরিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নীচে নেমে আসেন তিনি। কনফারেন্স রুম, রাজ্যপালের অফিস, এডিসির অফিস পেরিয়ে যাওয়ার সময়েই রাজ্যপাল ফোন করে মহিলাকে আটকাতে নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ। তার পর রাজ্যপালের ওএসডি সন্দীপ সিং রাজপুত, কুসুম ছেত্রী ও সন্ত লাল তাঁকে জোর করে টানতে টানতে অফিসে নিয়ে যান। তরুণী চিৎকার করে প্রতিবাদ করেন। কিন্তু অভিযোগ, তাঁকে ঘরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়, মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। এসব কথা প্রকাশ করা যাবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয়। কোনক্রমে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে নীচে নেমে আসেন অভিযোগকারিণী। নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত ৩ কর্মীকে ৪১-এ নোটিশ (Notice) পাঠিয়ে তলব করা হয়েছে। রবিবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। ওই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২ মে রাজভবনের কনফারেন্স রুমে ঘটনার পর রাজ্যপালের নির্দেশে সন্দীপ সিং রাজপুত-সহ বাকি দুজন অভিযোগকারিণীর ফোন ও ব্যাগ কেড়ে নেন। পুলিশের কাছে মুখ না খোলার জন্য ওই তরুণীকে দেওয়া হয় হুমকি ও মারধরও করা হয়।

অভিযোগ দায়ের করার সময় অভিযোগকারিণী পুলিশকে এসব কথা জানিয়েছিলেন বলে লালবাজার সূত্রের খবর। শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযোগকারিণী। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বক্তব্য, রাজভবনের কর্মীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। রাজ্যপাল নিজের সাংবিধানিক রক্ষাকবচকে কাজে লাগিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু রাজভবনের ৩ কর্মীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করছে। অভিযুক্তদের তদন্তে সহযোগিতা করা উচিত।
