রন্ধ্রে রন্ধ্রে গেরুয়া! RSS-এ কেটেছে শৈশব-যৌবন, ডাকলেই ফিরব: বিদায়ী ভাষণে জানালেন হাই কোর্টের বিচারপতি

বিচার ব্যবস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে গৈরিকীকরণ! বারবার তা প্রমাণ হচ্ছে। পদে ইস্তফা দিয়েই বিজেপিতে যোগ ও প্রার্থী হয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার আরেক বিচারপতি অবসরের দিন বিদায়ী ভাষণে জানালেন, তিনি RSS-এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। RSS ডাকলেই আবার ফিরে যেতে পারেন।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ। আদপে ওড়িশার বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে কর্মজীবন শেষ করেছেন। শেষদিনে বিদায়ী ভাষণে তিনি স্পষ্ট জানান, তাঁর ছেলেবেলা ও যৌবন কেটেছে আরএসএসের সান্নিধ্যে। সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে বিচারব্যবস্থার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়ার পরে, আরএসএস ছেড়ে দেন। দাশের দাবি, ৩৭ বছর আগে তিনি আরএসএস ছাড়েন। পদে থেকে তিনি সব রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিকে সমান চোখে দেখতেন। কারও ক্ষেত্রে কোনও আলাদা পদক্ষেপ করেননি। তাঁর কাছে বিচারব্যবস্থা সবকিছুর ঊর্ধ্বে ছিল বলে দাবি প্রাক্তন বিচারপতি দাশের। একই সঙ্গে তিনি জানান, জীবনে কখনও কোনও ভুল কাজ করেননি। হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে শেষ কর্মদিবসে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিসত্তা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে আরআরএসের যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

প্রাক্তন বিচারপতি দাশের আরও দাবি, নিজের কর্মজীবনের সুযোগ পাওয়ার জন্য কখনও সেই RSS-কে ব্যবহার করেননি। কোনও ব্যক্তির হয়ে পক্ষপাতিত্ব করেননি। তবে, একই সঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি দাশ জানান, অবসরের পরে যদি তাদের কাজে RSS তাঁকে ডাকে তবে, তিনি যেতে ইচ্ছুক।

অর্থাৎ এখনও সেই আদর্শ মেনেই চিত্তরঞ্জন দাশ চলেছেন। এখন প্রশ্ন উঠছে, এইভাবে একের পর এক বিচারপতিতে গেরুয়া যোগ যদি স্পষ্ট হয়, তবে তাঁদের কাছে নিরাপক্ষেতা কতটা আশা করবেন বিচারপ্রার্থীরা! তাঁদের রায়ে, মতাদর্শের কোনও ছায়া কি পড়ে না, উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন- গোটা দেশে শান্তিপূর্ণ পঞ্চম দফার ভোট, ভোটদানে শীর্ষে বাংলা