ঘূর্ণিঝড় রেমালে (Remal Cyclone) ক্ষতিগ্রস্তদের কতটা সাহায্য পৌঁছেছে জানতে চেয়ে এবার মুখ্যসচিবের (CS ) কাছে রিপোর্ট চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর আজই পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার চান সাহায্যের কাজের গতি নিয়ে বৈঠক হবে নবান্নে (Nabanna)। তার আগেই এই দুই জেলায় কতটা কাজ এগিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM)।

রবিবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। মঙ্গলবারই দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় যেতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে আকাশ পথে যাওয়ার জন্য বায়ুসেনার হেলিকপ্টার না থাকায় আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেমালের দুর্যোগ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের পাশে থাকার যে বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন তা পালনও করেছিলেন রবিবার বিনিদ্র রজনী কাটিয়ে। নির্বাচনী বন্দোবস্তের ব্যস্ততা সত্ত্বেও সর্বস্তরে প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় এবার প্রস্তুত ছিল। মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে রাজ্যের সম্পূর্ণ সচিবালয়, জেলা প্রশাসন থেকে ব্লক প্রশাসন দুর্যোগের মোকাবিলায় সকলে সংহতভাবে সবসময় মানুষের পাশে থাকায় প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় ১৪০০ শিবিরে সরানো গেছে। এইজন্য রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি সোমবারের সভা থেকে বলেন, ‘উপর থেকে যতটা পারব দেখব, যেহেতু জল জমে আছে নিচে নামা যাবে না, ততটা দেখে নেব। যাঁদের রিলিফ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে, ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে, বা বাড়ি আংশিক ভেঙেছে, কৃষি জমি বা ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে, আপনাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। দিদি আছে আপনাদের পাহারাদার। মানুষ যখন বিপদে পড়ে সবসময় পাশে থাকে। আপনাদের কাউকেই খালি রাস্তায় আমি থাকতে দেব না। সবাইকেই সাহায্য করব যতটা মানবিক হিসাবে সাহায্য করা যায়। প্রশাসন ঢেলে সাহায্য করছে, রিলিফ ক্যাম্পে যারা আছেন তাঁদের খাওয়া দাওয়া, চিকিৎসা থেকে শুরু করে। আপনারা শুনলে খুশি হবেন, নির্বাচন (Loksabha Election) চলা সত্ত্বেও আমি কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ উচ্চপদাধিকারী আধিকারিকদের পাঠিয়েছি যেসব জায়গাতে এই দুর্যোগ হয়েছে। সবাই ভালো থাকুন।’
