Thursday, November 6, 2025

বিরোধীদের অশান্তি বাধানোর চেষ্টা, সপ্তম দফার নির্বাচনে বাহিনীকে দুষল বিজেপি!

Date:

Share post:

সাত দফায় বাংলায় কোথাও ঠাঁই নেই দেখে সপ্তম দফার নির্বাচনের দিন নয়টি কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করে বিরোধীরা। তার মধ্যে ভোটের নজরে থাকা সন্দেশখালিতে দফায় দফায় পাথর ছুঁড়ে এলাকা উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হয় বিজেপির তরফে। আবার তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লাকে নজরদারিতে রাখার পরে ভাঙড়ে ভোর রাত থেকে ভোটের শেষ পর্যন্ত দেখা যায় অশান্তি। তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ভাঙড়ে অশান্তি কারা বাঁধালো। অন্যদিকে বারবার অশান্তি বাধানোর চেষ্টায় বাধা পড়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও কাঠগড়ায় তুলতে ছাড়েনি বিজেপি প্রার্থীরা।

শনিবার রাজ্যের নয়টি কেন্দ্রের লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হয়েছে। ভোটে একাধিক জায়গায় বিরোধীরা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করে। বরানগর উপনির্বাচনের সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য জড়ান হাতাহাতিতে। সিপিএম প্রার্থী ভোটারদের প্রভাবিত করতে থাকেন। বাধা দিতে গেলেই বচসা শুরু করেন তিনি। বরানগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচী বিক্ষোভের মুখে পড়েন। পুলিশের সঙ্গেও তর্কে জড়ালেন বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত। শীলভদ্রের উদ্দেশে গো ব্যাক স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিন সজল ঘোষকে দেখেও ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তোলা হয়।

শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলাকালীন ভিত্তিহীন অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টায় সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের উপর হামলা চালায় বিজেপির দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর ছেলে। হাসপাতালে তাঁদের দেখতে যান সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোও। সন্দেশখালির রাজবাড়ি এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ বিজেপির। কিছু বিজেপি কর্মী সন্দেশখালি ও হাসনাবাদে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালায়। তারপরেই উত্তেজনা ছড়ায়। সাধারণ মানুষ ও তৃণমূল কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এরপরেই বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র এলাকায় ঢুকে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশকে আঙুল তুলে হুমকি দিয়ে পোশাক খুলে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার নিদান দেন। ফলে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।  রাজ্য পুলিশকে ধাক্কা ও তুই-তোকারি করে গালিগালাজ রেখা পাত্রের৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মাইকে প্রচার করে।

তবে শুধু এই কেন্দ্রগুলি নয়, ডাময়ন্ড হারবার, যাদবপুর, দমদমের মতো কেন্দ্রগুলিতে বিরোধী প্রার্থীরা বিভিন্ন বুথে ঢুকে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার সিপিএমের সৃজন ভট্টাচার্য, সুজন চক্রবর্তীর মতো প্রার্থীদের গো-ব্যাক শুনিয়েছেন। আবার এই সব কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীরাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমালোচনায় সরব হয়েছেন। নির্বাচনে একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের চাপে রাখার কৌশলের পরও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে বিজেপি দাবি করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ‘অপদার্থ’।

spot_img

Related articles

বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় আজ বিহারে ১২১ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ

আজ থেকে শুরু হল বিহার বিধানসভা নির্বাচন। বৃহস্পতিবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ (Bihar Election 2026 First Phase)।এই পর্বে মোট...

KIFF: সিনেপার্বণের সূচনায় আজ শহরে নক্ষত্র সমাবেশ, বিকেলে ফিল্মোৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

রুপোলি সিনেমা শহরে দিল পা, বছর ঘুরে আবার এল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (31st Kolkata International Film Festival...

সুপ্রিম নির্দেশে রাজ্যে ফের শুরু ১০০ দিনের কাজ, নবান্নে তৎপরতা তুঙ্গে 

প্রায় তিন বছর পর ফের রাজ্যে শুরু হতে চলেছে কেন্দ্রীয় ১০০ দিনের কাজ (এমজিএনআরইজিএ) প্রকল্প। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা...

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...