একদিনের বৃষ্টিতে ভাঙল ১৩৩ বছরের রেকর্ড,সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত বেঙ্গালুরু

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী দুদিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হবে। কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টিও হতে পারে

মাস দুয়েক আগেও তীব্র জলকষ্ট আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছিল বেঙ্গালুরুবাসীর কাছে। কিন্তু রবিবারের বৃষ্টিতে পুরো ছবিটাই বদলে গেল। শুধুমাত্র বদলে গেল না, একদিনের বৃষ্টিতে ১৩৩ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিল কর্নাটকের রাজধানী। তথ্য বলছে, ১৮৯১ সালের ১৬ জুন বেঙ্গালুরুতে একদিনে ১০১.৬ মিমি বৃষ্টি হয়েছিল।অথচ রবিবার একদিনে ১৩৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে ১১১.১ মিমি বৃষ্টিপাত হল। আসলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু কেরলে সক্রিয় হয়ে গিয়েছে। এরপর এটাই প্রথম বৃষ্টি ছিল বেঙ্গালুরুতে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী,গত ১৩৩ বছরের মধ্যে জুন মাসে বেঙ্গালুরুতে এত বৃষ্টিপাত হয়নি । মৌসম ভবনের তথ্য অনুসারে, জুন মাসে বেঙ্গালুরুতে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ থাকে ১০৬.৫ মিমি। রবিবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী দুদিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হবে। কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টিও হতে পারে।

রবিবারের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বেঙ্গালুরুর বেশ কয়েকটি অংশে জল দাঁঅড়িয়ে যায়। এর ফলে ট্র্যাফিক চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে এবং মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়। হেব্বাল আন্ডারপাস, কেএফসি রোড থেকে গুঞ্জুর রোড, চিক্কাজালা কোট ক্রস, বেন্নিগানাহাল্লি রেলওয়ে ব্রিজ এবং হেব্বাল সার্কেলের মতো এলাকাগুলি তীব্র যানজটের সম্মুখীন হয়।বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল বৃষ্টিতে রবিবার ছুটির দিন হলেও সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দেশের তথ্যপ্রযুক্তির রাজধানী। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। ব্রুহাট বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে-র (বিবিএমপি) কাছে প্রায় ২৮৫টি অভিযোগ এসেছে।

মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, সাধারণত মেঘলা আকাশ থাকবে। বিচ্ছিন্ন জায়গায় মাঝারি বৃষ্টি, বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হবে। সর্বাধিক এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, একদিনে শহরে ২০৬টি গাছ ভেঙে পড়েছে। বেঙ্গালুরু লাগোয়া এলাকার কোথাও কোথাও এখনও জমা জল নামার লক্ষণ নেই। শহরে গত দুদিনে নজিরবিহীনভাবে ১৪০.৭ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া অফিস হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। ৫ জুন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলবে বলে জানানো হয়েছে। ফের ৮ ও ৯ জুন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।বেঙ্গালুরু পুলিশের যুগ্ম কমিশনার, ট্রাফিক বলেছেন যে রাজধানীর বিভিন্ন অংশে ৫৮টি স্থানে জল জমে আছে এবং শহরের ৩৯টি স্থানে গাছ পড়ে যাওয়ায় যানজট তৈরি হয়েছে।





 

Previous articleকমিশনের দুই হিসেব, শেষ দফাতেও রাতারাতি বাড়ল ভোট!
Next articleস্থগিত মারাদোনার জেতা ৮৬’র বিশ্বকাপে সোনার বলের নিলাম, কিন্তু কেন ?