বিজেপির জনবিরোধী নীতিতে রাজ্যের মানুষকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করেছিল তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের একাধিক ইস্যুর মধ্যে রাজ্যের শাসকদলের অন্যতম ইস্যু ছিল কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। নির্বাচন শেষ হতেই সেই বঞ্চনার বিরুদ্ধে ও রাজ্যের ন্যায্য পাওনার দাবিতে সরব হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু রাজ্যের শাসকদলের। জনগণের রায়ে শক্তি ক্ষয় করে ফের ক্ষমতায় এলেও কেন্দ্র একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে পারবে না মোদি সরকার, নির্বাচনের ফলাফলের দিনই সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো সরকার গঠনের শুরু থেকেই চাপ বাড়ানোর কৌশল নিতে চলেছে তৃণমূল।

নতুন সরকার গঠনের পর্ব শেষ হলেই রাজ্যের বকেয়া নিয়ে ফের কেন্দ্রের উপরে চাপ বাড়ানো হবে। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে বকেয়া টাকা চেয়ে কেন্দ্রের নতুন সরকারকে আবারো চিঠি দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার আধিকারিকদের কাছে বকেয়া সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য তলব করেছেন। রবিবার নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরেই পরের সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই নতুন করে এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন।


এখনও পর্যন্ত সরকার গঠনের দাবি জানাতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। সেক্ষেত্রে বিজেপি আর কেন্দ্রের ক্ষমতায় একাধিপত্বের জায়গায় থাকছে না। অন্যদিকে রাজ্যে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শক্তি বেড়েছে তৃণমূলের। গোটা দেশে আসন সংখ্যার নিরিখে চতুর্থ বৃহৎ দল তৃণমূল। এনডিএ-কে কড়া টক্কর দিয়ে বিপুল শক্তি সঞ্চয় করেছে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। ফলে এখন রাজ্যের দাবি থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আর অতটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন রাজ্যের কর্তারা। তাই প্রথম থেকেই পূর্ণ শক্তিতে রাজ্যের দাবি আদায়ে ঝাঁপানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ার কাজ না হলে শীঘ্রই বড় মাপের আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করার পরিকল্পনাও নেওয়া হবে বলে খবর।
