ভোটের প্রচার পর্বে বেআইনি মদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি তুলেছিলেন হুগলির তদানীন্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পোলবার সেই ঘটনায় পুলিশের কাজে আইন বিরুদ্ধ ভাবে লকেট হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করেছিল পোলবা থানা। ভোট মিটেছে, ফলাফল বেরিয়েছে, লকেট হেরেছে। এবার সেই ঘটনারই জোরদার তদন্ত শুরু করল পুলিশ।

সূত্রের দাবি, তদন্ত অনেক আগেই শুরু হয়েছিল। গত ১ জুন এ নিয়ে তাঁর বক্তব্য জানানোর জন্য পুলিশের তরফে নোটিশ পাঠানো হয় লকেটকে। কিন্তু তিনি পোলবা থানায় হাজিরা দেননি। তাঁকে হাজির হওয়ার জন্য যে সময়সীমা ধার্য করা হয়েছিল, তা বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। এবার আইনি পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।


গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রাক্তন সাংসদ হয়ে গিয়েছেন। ফলে, প্রায় একমাস আগের ওই ঘটনার তদন্তকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে। অন্যদিকে, হুগলি গ্রামীণ পুলিসের দাবি, গত ৪ মে এক পুলিস অফিসার এ নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। সেই অনুসারে আইন মেনেই আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে।

মে মাসে তখন ভোট প্রায় তুঙ্গে। সেই সময় পোলবায় একটি গাড়ি আটকে তা থেকে মদ উদ্ধার করার প্রক্রিয়া চলছিল। ঘটনাচক্রে সেই সময় লকেট সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ভোট প্রভাবিত করতেই মদ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি সেই ভিডিও তৈরি করেন। নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশের দাবি, সেদিন বেআইনিভাবে মদ বহন করার অভিযোগে বিশেষ নাকা চেকিং দল একটি গাড়িকে আটক করেছিল। লকেট চট্টোপাধ্যায় সেই সময় এসে তাঁর দেহরক্ষীদের নিয়ে গোটা ঘটনা সাজিয়ে ছবি তোলেন। স্থানীয় মানুষদেরও তিনি এনিয়ে প্ররোচিত করেন। এরপর পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ দায়ের হয়। নাকা চেকিংয়ের দায়িত্বে থাকা এক অফিসার এনিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেন।


আরও পড়ুন- রামোজি রাওয়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর
