Monday, November 10, 2025

NEET দুর্নীতির শিকার শহরের পরীক্ষার্থী, হাইকোর্টের তোপে NTA

Date:

Share post:

দেশের একাধিক রাজ্যে NEET পরীক্ষার দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হওয়ার মাঝে ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সির গাফিলতিতে রাজ্যের এক পরীক্ষার্থীর দুর্দশার তথ্য সামনে এলো। পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থার অবহেলায় নষ্ট হল এক পরীক্ষার্থীর এক বছর। এমনকি এক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ওই পরীক্ষার্থীকে কোনও গ্রেস মার্কস দেওয়ার বিষয়েও কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি এনটিএ। ফলে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশেষ আদালত বসে তীব্র ভর্ৎসনা করা হয় কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থাকে।

এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলাটির শুনানিতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে যান। আর যা দেখেই বিস্মিত হয়ে যান তিনি। সিসিটিভিতে পরিষ্কার দেখা যায়, মামলাকারী পরীক্ষার্থী দীর্ঘক্ষণ পরীক্ষার হলে পরীক্ষা না দিয়ে বসে রয়েছেন। দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর এদিন অরিজিনাল ওএমআর শিট এবং সিসিটিভি ফুটেজ এক বছরের জন্য সংরক্ষণ রাখার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

NEET পরীক্ষার দিন পানিহাটির একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রায় দেড় ঘণ্টা বিনা কারণে বসে থাকেন সল্টলেকের বাসিন্দা এক পরীক্ষার্থী। তাঁর ওএমআর শিটটি ছেঁড়া ছিল। সেটি বদলে পরীক্ষা দিতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় তাঁর নষ্ট হয় বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। এই মামলার শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণে এনটিএ-র তরফ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কোনও গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছে কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়।

পাল্টা এনটিএ দাবি করে, পরীক্ষার্থীকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বিকল্প ওএমআর শিট দিয়ে দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতেই পরীক্ষা কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়। সেই ফুটেজ দেখে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এনটিএ-কে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। সেখানে দেখা যায় পরীক্ষার্থীর প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়েছিল। তার জন্য পরীক্ষার্থীকে কোনও গ্রেস মার্কসও কেন দেওয়া হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

তবে এই মামলায় প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রীকে ফের NEET পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই মামলার জন্য ফের শুনানি শুরু হয় ছাত্রীর ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে। তবে পরবর্তী শুনানিতে আদালত জানায় যেহেতু মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসার অনুমতি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ দিতে পারে না। তবে মামলাকারী প্রয়োজন মনে করলে শনিবার শীর্ষ আদালতে যেতে পারবেন। কারণ, রবিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গ্রেস নম্বর পেয়েছেন এমন ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। ছাত্রীর ভাগ্য ঝুলে রইলেও আরও একবার প্রমাণিত এত বড় পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা হিসাবে এনটিএ-র অযোগ্যতা।

spot_img

Related articles

ধর্মীয় বই কিনতে গিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণার ফাঁদে কলকাতা ইসকন! গ্রেফতার ১ 

ধর্মীয় বই কেনার অর্ডার দিতে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হল কলকাতা ইসকন। অভিযোগ, অর্ডার অনুযায়ী...

বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের সৌজন্যে হারানো পুলিশের চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বাবা

কয়েকদিন আগেই আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ(ICC World Cup)  জিতেছে ভারতীয়  মহিলা দল। মেয়েদের সাফল্যে গর্বিত মা-বাবারা। তবে বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের...

গ্যাস-সমস্যায় নিঃশ্বাসের পরীক্ষা: যুগান্তকারী আবিষ্কারে বিশ্বে স্বীকৃতি বাঁকুড়ার চিকিৎসকের

একটি সাধারণ সমস্যা, যাতে জর্জরিত বর্তমান যুবসমাজ থেকে শিশুরা পর্যন্ত। গ্যাস বা গ্যাসট্রাইটিসের মতো সমস্যা নির্ধারণ করার জন্য...

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বাড়তে পারে আসন সংখ্যা, জানালো এসএসসি 

রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী,...