Thursday, August 21, 2025

NEET দুর্নীতির শিকার শহরের পরীক্ষার্থী, হাইকোর্টের তোপে NTA

Date:

Share post:

দেশের একাধিক রাজ্যে NEET পরীক্ষার দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হওয়ার মাঝে ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সির গাফিলতিতে রাজ্যের এক পরীক্ষার্থীর দুর্দশার তথ্য সামনে এলো। পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থার অবহেলায় নষ্ট হল এক পরীক্ষার্থীর এক বছর। এমনকি এক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ওই পরীক্ষার্থীকে কোনও গ্রেস মার্কস দেওয়ার বিষয়েও কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি এনটিএ। ফলে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশেষ আদালত বসে তীব্র ভর্ৎসনা করা হয় কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থাকে।

এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলাটির শুনানিতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে যান। আর যা দেখেই বিস্মিত হয়ে যান তিনি। সিসিটিভিতে পরিষ্কার দেখা যায়, মামলাকারী পরীক্ষার্থী দীর্ঘক্ষণ পরীক্ষার হলে পরীক্ষা না দিয়ে বসে রয়েছেন। দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর এদিন অরিজিনাল ওএমআর শিট এবং সিসিটিভি ফুটেজ এক বছরের জন্য সংরক্ষণ রাখার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

NEET পরীক্ষার দিন পানিহাটির একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রায় দেড় ঘণ্টা বিনা কারণে বসে থাকেন সল্টলেকের বাসিন্দা এক পরীক্ষার্থী। তাঁর ওএমআর শিটটি ছেঁড়া ছিল। সেটি বদলে পরীক্ষা দিতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় তাঁর নষ্ট হয় বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। এই মামলার শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণে এনটিএ-র তরফ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কোনও গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছে কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়।

পাল্টা এনটিএ দাবি করে, পরীক্ষার্থীকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বিকল্প ওএমআর শিট দিয়ে দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতেই পরীক্ষা কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়। সেই ফুটেজ দেখে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এনটিএ-কে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। সেখানে দেখা যায় পরীক্ষার্থীর প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়েছিল। তার জন্য পরীক্ষার্থীকে কোনও গ্রেস মার্কসও কেন দেওয়া হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

তবে এই মামলায় প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রীকে ফের NEET পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই মামলার জন্য ফের শুনানি শুরু হয় ছাত্রীর ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে। তবে পরবর্তী শুনানিতে আদালত জানায় যেহেতু মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসার অনুমতি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ দিতে পারে না। তবে মামলাকারী প্রয়োজন মনে করলে শনিবার শীর্ষ আদালতে যেতে পারবেন। কারণ, রবিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গ্রেস নম্বর পেয়েছেন এমন ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। ছাত্রীর ভাগ্য ঝুলে রইলেও আরও একবার প্রমাণিত এত বড় পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা হিসাবে এনটিএ-র অযোগ্যতা।

spot_img

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...