Saturday, November 15, 2025

উচ্ছেদ নয়, হকারদের পাশে দাঁড়িয়ে বিকল্প পথের সন্ধান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Date:

Share post:

হকার উচ্ছেদ তাঁর লক্ষ্য নয়। তবে, রাজ্যের শহর ও শহরতলীকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে বেআইনি দখলদারি হটাতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে, সেক্ষেত্রে বুলডোজার চালানোর বিপক্ষে তিনি। রাস্তা, ফুটপাত, সরকারি জমি, বেআইনি দখলদারি হটানোর পাশাপাশি হকারদের পুনর্বাসনেরও পথ দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দেন, বহিরাগতদের জায়গা দেওয়া হবে না। ভোটার কার্ড অনুযায়ী, একজন হকারকে ডালা বসাতে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে, সেটাও নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ম মেনে। হকারদের (Hawker) নামে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। হকারদের পরিচয়পত্র তৈরি করতে হবে।নবান্নে বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার মেয়র, জেলাশাসক ও পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কারও রুটি রুজি কেড়ে নেওয়ার অধিকার সরকারের নেই। কিন্তু পুরো বিষয়টায় একটা সৌন্দর্য্য বজায় রাখতে হবে। পুর এলাকায় ফুটপাতে হকার বসার সুনির্দিষ্ট নিয়ম করে দেওয়ার তিনি নির্দেশ দিয়েছেন
• হকারদের নির্দিষ্ট জোন করে দিতে হবে
• আগুন লাগবে না এমন জিনিস দিয়ে স্টল বানাতে হবে
• প্রতিটি স্টলের নম্বর থাকবে
• এক জন হকার এক একটি করেই স্টল পাবেন
• বৈধ হকারদের চিহ্নিত করতে পরিচয় পত্র দিতে হবে

মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রত্যেক জেলায় হকার (Hawker) জন্য জায়গা চিহ্নিত করতে পুরো সচিব জেলায় জেলায় গিয়ে সমীক্ষা চালাবেন। কলকাতার নিউমার্কেট, গ্র্যান্ড হোটেল, হাতিবাগান চত্বরে হকারদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে কলকাতা পুরসভা ও বিভিন্ন হকার কমিটির সদস্যদের দিয়ে তিন মাসের মধ্যে সমীক্ষা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

মমতার সংযোজন, “ওয়ান আমব্রেলা সিস্টেমে করতে হবে। তিন মাস সময় দিলাম। হকার জোনের জন্য বাড়ি না পেলে ছোট্ট একটি জমি নিয়ে সেখানে করে দিন। কলকাতার আইডেন্টিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সল্টলেকের আইডেন্টিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ভালো কাজে পুরস্কার খারাপ কাজে তিরস্কার। সরিয়ে দেবো। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে ৪৬ জনকে তাড়িয়ে দিচ্ছে আমি সেই পথে যেতে চাই না।”

মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, “হকারদের জীবিকা কেড়ে নেওয়ার অধিকার নেই আমার। কিন্তু হকারদেরও নিয়ম মানতে হবে।” তাঁর কথায়,
1. হকার জোন চিহ্নিত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে একটি ভবন তৈরি করা হবে। যেখানে হকাররা মালপত্র রাখবে।
2. তার বীমা করে দেবে সরকার।
3. সেখানে দু-চারটে কাঠের ভ্যান রাখা হবে।
4. যাতে করে স্টলে মালপত্র আনা নেওয়া করবেন হকাররা।
5. তবে ফুটপাথে মাল রাখা যাবে না।

একইসঙ্গে বেশ কিছু এলাকায় মা ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন। এমনকী, কয়েকটি এলাকায় বহুতল বানিয়ে সেখানে হকারদের জন্য ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।





spot_img

Related articles

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...

জাদুসম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর! বিজ্ঞাপন দেখে পাত্র পছন্দ মৌবনীর

জিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে, বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে! মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার, সেখান থেকেই পাত্র...