চোপড়াকাণ্ডে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর।জানা গিয়েছে, গত ১ জুলাই মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন চোপড়া কাণ্ডের নির্যাতিতা মহিলা। লিখিত অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, আমার অজান্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যার জন্য আমার সম্মানহানি হয়েছে। ভিডিও ভাইরাল করেছেন মহম্মদ সেলিম এবং বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

বাম সমর্থকদের পাল্টা দাবি, ওই মহিলাকে দিয়ে এই বয়ান দিতে বাধ্য করা হয়েছে। একই দাবি করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশও। তাঁদের দাবি, ওই মহিলাকে বাধ্য করা হয়েছে। হয়তো প্রাণে মারার বা এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্যাতিতাকে মারার ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্ত জেসিবি’র বাহিনী গ্রামে ঢুকে গ্রামবাসীদের হুমকি দেয়, যাতে কেউ মুখ না খোলে। এবং যিনি ওই ভিডিও রেকর্ড করেছেন তার খোঁজেও গ্রামে তল্লাশি চালায় তাঁরা। এরই মাঝে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও শেয়ার করে এই ঘটনার নিন্দা করেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এরপর সোমবার রাতে নির্যাতিতা মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

এবিষয়ে সিপিআইএমের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সম্পাদক আনোয়ারুল হক জানিয়েছেন,এই ঘটনার মোড় ঘোরাতে ওই মহিলাকে ব্যবহার করেছে। আমাদের রাজ্য সম্পাদকের নামে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত রবিবার দুপুরে চোপড়ার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দেখা যায় চোপড়ার স্থানীয় নেতা তাজমূল ওরফে ‘জেসিবি’ এক ছড়া কঞ্চি দিয়ে এক তরুণীকে বেধড়ক মারধর করছে। মেয়েটিকে চুলের মুঠি ধরে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে ফের মারধর করা হচ্ছে। মেয়েটির সঙ্গে এক তরুণকেও মারধর করতে দেখা যাচ্ছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ব বাংলা সংবাদ। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই জেসিবির বিরুদ্ধে দুটি জামিন অযোগ্যধারা এবং তিনটি জামিনযোগ্য ধারাতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে চোপড়া থানার পুলিশ। বর্তমানে জেসিবি –সহ আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই তিনজনই জেল হেফাজতে রয়েছে।
