আনোয়ার আলিকে নিয়ে নাটক অব্যহত।বুধবার রাতে ইস্টবেঙ্গল এফসিতে সই করেন আনোয়ার আলি। তবে তাঁর লাল-হলুদে খেলা নিয়ে তখনই সংশয় দেখা দেয়। কারণ লোনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে আনোয়ারে সঙ্গে। আর এখন পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে ইস্টবেঙ্গলে সই করলেও লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপিয়ে ভারতীয় দলের এই ডিফেন্ডার নামতে পারবেন কিনা তা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখবে এআইএফএফ-এর প্লেয়ার স্টেটাস কমিটি। কেরিয়ার বাঁচানোর স্বার্থে আনোয়ার নিজেও সেই আবেদন করেছেন বলে সূত্রের খবর। এখন ফেডারেশন কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।

ফেডারেশনের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ অনুসারে লোন ডিল নিয়ে যে নিয়ম ফিফা চালু করেছে, তা ভারতের ক্ষেত্রে লাঘু হবে ২০২৫-এর জানুয়ারি মাসের ট্রান্সফার উইন্ডো থেকে। এদিকে এখন চলছে আগস্ট ট্রান্সফার উইন্ডো। ইস্টবেঙ্গল তার মধ্যেই এই ডিফেন্ডারকে সই করিয়ে নিয়েছে। ফলে এখন যা পরিস্থিতি তাতে লাল-হলুদে সই করলেও এখনও আনোয়ারের খেলার ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছে না কোনও পক্ষ। সরকারি ঘোষণাও হয়নি। যদিও মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট আজকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছে, আনোয়ার তাদের দলেই রয়েছেন।


দিল্লি এফসি থেকে লোনে নিয়ে আনোয়ারের সঙ্গে দীর্ঘ চুক্তি করে মোহনবাগান। সম্প্রতি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা সেই চুক্তির আইনি ফাঁক খুঁজে দেখেন। সব কাগজপত্র খতিয়ে দেখে ফিফার নতুন নিয়মে লোনে আনোয়ারকে সই করায় লাল-হলুদ। ফিফার নতুন নিয়মে কাউকে একবছরের বেশি চুক্তিবদ্ধ করা সম্ভব নয়। ফিফার ওই নতুন নিয়মের বলেই আনোয়ারকে চুক্তিবদ্ধ করে ইস্টবেঙ্গল।

২০২৩ মরশুমে চার বছরের লোন ডিলে দিল্লি এফসি থেকে মোহনবাগানে এসেছিলেন আনোয়ার। মরশুমের অনেকটা সময় চোটের জন্য বাইরে থাকতে হলেও, যেটুকু খেলেছেন তাতে ভরসা দিয়েছেন এই ডিফেন্ডার। মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে গোলও রয়েছে তাঁর।


আরও পড়ুন- Breakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
