উপনির্বাচনে জয়জয়কার, নয়া বিধায়কদের শপথ নিয়ে রাজ্যপালকে ‘সংবিধান রক্ষা’র বার্তা স্পিকারের

0
4

সংবিধান মেনেই হবে শপথগ্রহণ (Oath Taken) অনুষ্ঠান। আগেও আমরা শপথ করিয়েছি, এটা নতুন কিছু নয়। আশা করি রাজ্যপাল (Governor) এমন কিছু করবেন না যাতে সংবিধান লঙ্ঘিত না হয় সেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। শনিবার বাংলার ৪ কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) রেকর্ড ব্যবধানে জয়ের পর বিধায়কদের শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পরোক্ষে তোপ দাগলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। এদিন পশ্চিমবঙ্গের চার বিধানসভা কেন্দ্র- রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং মানিকতলায় উপ-নির্বাচনের ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়। ফলাফল সামনে আসতেই দেখা যায় বিজেপিকে (BJP) রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে এই চার আসনেই অনায়াসে জয় পেয়েছে তৃণমূল (TMC)।

পাশাপাশি এদিন ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়জয়কার প্রসঙ্গে স্পিকার সাফ জানান, মানুষ বুঝতে পেরেছেন তৃণমূলের কোনও বিকল্প নেই, সেকারণেই আস্থা রেখেছেন। বিজেপি বুঝে গিয়েছে তাদের হাতে আর বেশি সময় নেই। সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেনের শপথগ্রহণ নিয়ে তুঙ্গে ওঠে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত। দীর্ঘ নাটকীয়তার পর রাজ্যপাল নন, চলতি মাসের ৫ তারিখেই বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন বসিয়ে তৃণমূলের নবনির্বাচিত দুই বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার। রুলস অফ বিজনেসের ২ নম্বর অধ্যায়ের ৫ নম্বর ধারা মেনে তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ২০২১ সালে মানিকতলা বাদে বাকি জেতা তিন কেন্দ্রে বিজেপির দখলে ছিল। কিন্তু এদিন উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই দেখা গেল নিজেদের গড়ই ধরে রাখতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। যার জেরে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিধায়ক সংখ্যা আরও কমে গেল। রাজ্যের বিধানসভায় তৃণমূলের আসন ছিল ২১১। জিতে সেই আসনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১৪। আর বিজেপির আসন সংখ্যা আরও কমে ৭৪–এ দাঁড়াচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ২৯৪ আসন রয়েছে। ২০২১ সালে ৭৭টি আসনে জিতেছিল বিজেপি।

অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কথায় উঠে আসে মানুষ বুঝতে পেরেছে যেকটা আসন বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে পেয়েছিল তা পাওয়া ঠিক হয়নি। এদিন রাজ্যের ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফলই প্রমাণ করেছে তাঁদের সামনে নেত্রী একজনই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন মানিকতলা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের হার প্রসঙ্গে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, হেরে গেলে মানুষ অনেক কথা বলেন। তিনি হেরে যাবেন আগেভাগেই জানতেন। আর তার জন্যই জমি তৈরি করে রাজনীতি করতে চেয়েছিলেন কল্যাণ। কিন্তু মানুষ তাতে প্রশ্রয় দেয়নি।

 

উল্লেখ্য, শনিবার নেপালি কবি ভানুভক্ত আচার্যের জন্মদিবসে বিধানসভায় তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করা হয়। দলের বিধায়কদের উপস্থিতিতে প্রতি বছরের মতো চলতি বছরেও নেপালি কবিকে বিধানসভায় শ্রদ্ধা জানানো হয়। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন, তিনি নেপালি ভাষায় রামায়ণকে বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন। নেপালি ভাষাকে সমৃদ্ধ করার জন্য ভানুভক্তের অবদান অসামান্য।