সরকারি হাসপাতালে পথ কুকুরের দাপটে আক্রান্ত রোগী, তাঁদের আত্মীয়, চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী সবাই। জলাতঙ্কের ভয়ে কাঁটা সকলে। এক রোগ সারাতে এসে উল্টো বিপত্তি। কেন হাসপাতাল চত্বরে কুকুর নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না? উঠছে প্রশ্ন। এই সমস্যার সমাধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেশের সব হাসপাতালের জন্যই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিকর্তা তাঁর চিঠিতে লেখেন, হাসপাতালের কয়েকজনকর্মী কুকুরদের নিয়মিত দু’বেলা খাবার দেন। এমনকী অভিযোগ, রোগীর বরাদ্দ খাবারও চলে যায় কুকুরের পাতে! হাসপাতাল চত্বর তো বটেই বাইরের এলাকাও অবিলম্বে পথ-কুকুর মুক্ত করতে হবে। কেননা হাসপাতালের স্বাস্থ্য না ফেরালে রোগী সুস্থ হওয়া কঠিন। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের উপাধ্যক্ষদের বার্তা পাঠিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,
• হাসপাতাল ঘিরে অন্তত ৮ ফুট পাঁচিল দিতেই হবে।
• হাসপাতালের প্রধান প্রবেশপথে চারপেয়ে ঢোকার রাস্তা আটকাতে হবে।
• হাসপাতাল চত্বরের বাইরে কুকুরকে খেতে দিতে হবে।

হাসপাতালকে কুকুরমুক্ত করতে নিরাপত্তা কর্মীদের বিশেষ ভূমিকা আছে। কিন্তু কুকুর তাড়ানোর সময় লাঠিপেটা বা নির্দয় হলে চলবে না। হাসপাতালকে কুকুর-বিড়ালসহ যাবতীয় জন্তু থেকে মুক্ত করতে উপাধ্যক্ষকে লাগাতার প্রচার চালাতে হবে।

আরও পড়ুন- রাজ্যের জয়েন্টের মাধ্যমেই নেওয়া হোক মেডিকেলের প্রবেশিকা পরীক্ষা, দাবি এনআরএসের প্রাক্তনীদের
