তৃণমূল কর্মী হওয়ায় ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য শংসাপত্র দেননি বিজেপি সাংসদ! পাশে দাঁড়ালেন কীর্তি

অর্থাভাবে ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে না পেরে প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডের জন্য আবেদন করতে গিয়েছিলেন খণ্ডঘোষের মুইধারা গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ নজরুল ইসলাম। কিন্তু তৃণমূল কর্মী হওয়ার অপরাধে প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডের জন্য শংসাপত্র দিতে রাজি হননি বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। শেষ পর্যন্ত সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শংসাপত্র দিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কীর্তি আজাদ। এরপরই সৌমিত্রকে কটাক্ষ করে কীর্তির বলেন, কে ভোট দিয়েছেন, কে দেননি, তা দেখে শংসাপত্র দিচ্ছেন সৌমিত্র।

দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছেন পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের মুইধারা গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এই গ্রাম বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। ইতিমধ্যে তিনি জমি বিক্রি করে চিকিৎসার জন্য সাত লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। কেমোথেরাপির জন্য এখন প্রয়োজন এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু আর্থিক অনটনের জন্য তিনি সেই চিকিৎসা করাতে পারছেন না

এরপরই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সাহায্য প্রার্থনা করে আবেদন করার সিন্ধান্ত নেন নজরুল। এই আবেদন করতে হলে সাংসদের দেওয়া একটি শংসাপত্রের প্রয়োজন। গত সোমবার এই শংসাপত্রের জন্য বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্রের কাছে যান নজরুল। কিন্তু তখন সাংসদ দফতরে ছিলেন না। সাংসদের সচিবকে গোটা বিষয়টি জানান নজরুল। এই নিয়ে সৌমিত্রের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন তাঁর সচিব। তাঁকে গোটা বিষয়টি জানান। নজরুল বলেন, ‘‘সাংসদের সচিব আমাকে বলেন, আপনি সাহায্যের আবেদনের জন্য শংসাপত্র পাবেন না। কারণ সাংসদ আপনাকে শংসাপত্র দিতে বারণ করেছেন।’’

এরপরই শনিবার বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কীর্তি আজাদের সঙ্গে দেখা করেন নজরুল। সঙ্গে সঙ্গেই ওই সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা হয়। সাংসদ কীর্তি  আজাদ বলেন, “ভোট মিটে গেছে। এখন আমি সবার সাংসদ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে ভোট দিয়েছে, কে তাঁকে ভোট দেয়নি সেই হিসেব করে প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডের সার্টিফিকেট দেবেন। এটা একেবারেই কাম্য নয়।”

আরও পড়ুন- নিজেদের টানেই একুশের সমাবেশ: চূড়ান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে কর্মীদের বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর

 

Previous articleনিজেদের টানেই একুশের সমাবেশ: চূড়ান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে কর্মীদের বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর
Next articleভারতীয় ফুটবল দলের নতুন কোচ হলেন মানোলো মার্কেজ