বাংলাকে বঞ্চনা থেকে বঙ্গভঙ্গের চক্রান্ত, আজ নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রতিবাদী মমতা

কেন্দ্রীয় বাজেটের (Union Budget) নামে নতুন এনডিএ সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের প্রতিবাদে আজ নীতি আয়োগের বৈঠকে (NITI Aayog Meeting today) সোচ্চার হতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার দিল্লি রওনা হওয়ার আগেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, যে এবার দাবি আদায়ে আর কোনও আবেদন বা অনুরোধ নয়, বাংলার বঞ্চনার প্রতিবাদ করতে হবে। জনসমর্থন হারিয়ে নড়বড়ে এনডিএ সরকারকে এক ইঞ্চিও জমি না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। এবার নীতি আয়োগের বৈঠকে ইন্ডিয়া জোটের (I.N.D.I.A Allience) হয়ে সওয়াল করতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

শুক্রবার দিল্লি পৌঁছেই বঙ্গভবনে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই বৈঠকের মূল বার্তা ছিল এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে আরও জোরদার লড়াইতে নামা। নেত্রী নিজে সাতবারের সাংসদ। তিনি নিজের অভিজ্ঞতা সাংসদদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। কুশল বিনিময়ের পরে অভিজ্ঞ সংসদের পরামর্শ মেনে নতুন সাংসদদের কাজ করার বার্তা দেন দলনেত্রী। তাঁদের ভালো করে কাজ শেখার পরামর্শ দেন তিনি। কেন্দ্রের নড়বড়ে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি সাংসদ হিসাবেও দায়িত্ব পালনের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। তিনি সংসদীয় এলাকায় আরও বেশি করে যাওয়ার নির্দেশ দেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু সেই বৈঠক বয়কট করেছেন ইন্ডিয়া জোটের শরিক পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক, কেরল, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীরা। কিন্তু মমতা বৈঠকে যোগ দেবেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে অন্যরকম ভাবতাম, যদি আগে থেকে জানানো হত বাকিরা বয়কট করছে। এনডিএ জোটের সঙ্গে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই, কারণপ্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু সেই বৈঠক বয়কট করেছেন ইন্ডিয়া জোটের শরিক পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, কর্নাটক, কেরল, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীরা। কিন্তু মমতা যাচ্ছেন। প্রথম থেকে নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতার সফরসূচি নিয়ে একটা জলঘোলা তৈরি হয়েছিল। শেষমেশ তাঁর সফর নির্ধারিত হয়। মমতা বলেন, “ যদি আগে থেকে জানানো হত বাকিরা বয়কট করছে তাহলে নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে অন্যরকম ভাবতাম। এনডিএ জোটের সঙ্গে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই, ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেই আছি। আমি যাচ্ছি। আমাকে বলতে দিলে বলব, না হলে প্রতিবাদ করব।” এক দিকে ইকনমিক ব্লকেড অন্যদিকে পলিটিক্যাল ব্লকেড। বাংলার পাশাপাশি দেশকে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার যে ঘৃণ্য চক্রান্ত শুরু করেছে নতুন সরকার তার বিরোধিতায় আজকের বৈঠকে সরব হতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।