শুরু কার্ফু, বাংলাদেশে হিংসার বলি পুলিশ থেকে আন্দোলনকারী

সন্ধ্যা ৬টায় যে সংখ্যাটা ছিল ৬০ এর কাছাকাছি, সন্ধ্যা ৭টায় সেটা ৭০ এর কাছাকাছি পৌঁছে যায়। শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে ৭২ জনের মৃত্যু

কোথাও জ্বলছে পার্টি অফিস। কোথাও আস্ত একটা মানুষ। আন্দোলনকারীদের দিকে কোথাও বলপ্রয়োগ পুলিশের। কোথাও থানায় পড়ে সার সার মৃতদেহ।

কোটা আন্দোলনের নামে কার্যত ধ্বংস উপত্যকার চেহারা নিতে চলেছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে জারি হয়েছে অনির্দিষ্টাকালের জন্য কার্ফু। সপ্তাহের শুরুতেই বন্ধ থাকছে ব্যাঙ্ক। এমনকি তিনদিন শেয়ার বাজারও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সহ সব আদালতও বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে।

আন্দোলনকারীরা এখন শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করছেন। ফলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে আওয়ামী লিগ। আন্দোলনকারীরা কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লিগের পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীদের পুলিশ ও আওয়ামী লিগ কর্মীরা একযোগে প্রতিরোধ করছে। আর তাতেই লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সন্ধ্যা ৬টায় যে সংখ্যাটা ছিল ৬০ এর কাছাকাছি, সন্ধ্যা ৭টায় সেটা ৭০ এর কাছাকাছি পৌঁছে যায়। শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে ৭২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, ফেনি থেকে রংপুর, পাবনা, সিলেটে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। তার মধ্যে শুধুমাত্র সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ভিতরে ১২ জন পুলিশকর্মীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন পুলিশকর্মীরা। একাধিক এলাকায় গুলিতে আহত সাংবাদিকরাও। ভাঙচুর চালানো হয় দুই পত্রিকার দফতরেও।

Previous articleএবার রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে পা মেলাবেন মহিলা চা শ্রমিকরা
Next articleসেমিফাইনাল অতীত, লক্ষ্যের নজর এখন ব্রোঞ্জ পদক জয়