সীমান্তে শুরু যাতায়াত, আশঙ্কা নিয়ে দেশে ফেরা বাংলাদেশী নাগরিকদের

বাংলাদেশের বহু নাগরিককেও সেই বিমানে ভারতে আসতে দেখা যায়। দেশে অশান্তির কারণে দেশ ছাড়ার কথাও শোনা যায় তাঁদের মুখে

ভারতের তরফ থেকে যখন সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে ভারতের প্রশাসন, তখন ভারতের চিকিৎসার জন্য আসা বাংলাদেশী নাগরিকরা আতঙ্ক নিয়েই প্রবেশ করা শুরু করলেন নিজেদের দেশে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলাদেশের স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হওয়ার নির্দেশ জারি করেছিলেন রাষ্ট্রপতি সাহবুদ্দিন চুপ্পু। সেই নির্দেশের পরে অশান্তির মধ্যেও স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশের জনজীবন। তবে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে ফেরার এখনই কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানা গিয়েছে। তারই মধ্যে সীমান্তে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হল যাতায়াত। বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী পেট্রাপোল সীমান্তে বৈঠকও করেন বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কার্যকলাপ নিয়ে।

মঙ্গলবার সকালে উত্তর চব্বিশ পরগণার পেট্রাপোল সীমান্তে শুরু হয় যাতায়াত। চিকিৎসার জন্য ভারতে আসা বাংলাদেশের নাগরিকরা দেশের ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকেও ভারতে আসতে দেখা যায় বাংলাদেশের নাগরিকদের। বিএসএফ ডিজি পেট্রাপোল সীমান্তে গিয়ে দু দফায় জওয়ান ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কীভাবে পদক্ষেপ নেবে সীমান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে বর্তমানে সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়েও রিপোর্ট নেন ডিজি।

একইভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জলপাইগুলি চেকপোস্টেও শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা বা ব্যবসার কাজে আসা বাংলাদেশের নাগরিকদের ফিরে যেতে দেখা যায়। তবে রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে বাংলাদেশের পারে গণ্ডগোল হওয়ার পরে সেখানে অতিসজাগ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। সেখানে যাতায়াত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসএফ।

অন্যদিকে ভারতের তরফ থেকে ঢাকায় বিমান পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়া। সেই পথেই রবিবার হেঁটেছে ইন্ডিগো-ও। তবে ঢাকা বিমান বন্দর থেকে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিমান ওঠানামা শুরু হয়। ঢাকা থেকে কলকাতা বিমান বন্দরেও এসে পৌঁছায় একটি বিমান। সেই বিমানে ভারতীয় নাগরিকরা যেমন দেশে ফেরেন। তেমনই বাংলাদেশের বহু নাগরিককেও সেই বিমানে ভারতে আসতে দেখা যায়। দেশে অশান্তির কারণে দেশ ছাড়ার কথাও শোনা যায় তাঁদের মুখে। বাংলাদেশের ভিতরে রেল পরিবহন শুরু করা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন। রবিবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় সেদেশের রেল যোগাযোগ। সেই সঙ্গে ভারতের মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাতায়াতও অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।

Previous articleশুধু অভিনয়ই নয়, প্রযোজনা থেকেও বিদায় আমিরের! বড় দায়িত্ব পাচ্ছেন জুনেইদ
Next articleপ্যারিস অলিম্পিক্সে নজির অবিনাশ সাবলের, পৌঁছালেন ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজের ফাইনালে