পাকিস্তানের পর বাংলাদেশ, হাসিনাকে ‘গদি ছাড়া’ করতে কলকাঠি নাড়েন এই মার্কিন কূটনীতিক!

শেখ হাসিনা (Seikh Hasina) সরকারের অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবারই শপথ নিয়েছে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা পদে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস (Muhammed Yunus)। বর্তমানে হাসিনা নিজের বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন। এরই মধ্যে নোবেলজয়ীর শপথগ্রহণ ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জেলমুক্তির পরই বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনীতিতে (Politics) নয়া মোড়। গত ৫ জুলাই বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে অগ্রসর হতেই শেখ হাসিনা দ্রুত পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।

তবে হাসিনা সরকারের অবসানের পিছনে আইএসআই ও আমেরিকার উসকানিকেই কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ নিজেই আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন, হাসিনা সরকারের পতনে আমেরিকার হাত থাকতে পারে। তবে পুরো চিত্রনাট্যের মাস্টারমাইন্ড আমেরিকান কূটনীতিক ডোনাল্ড লু (Donald Lu)। তাঁর আরও একটি পরিচয় আছে তিনি সরকার পরিবর্তনের মাস্টারমাইন্ড। ডোনাল্ড লু মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী সচিব অর্থাৎ দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় আমেরিকার নীতি কী হবে এবং কীভাবে তা বাস্তবায়িত হবে তা দেখভাল ও সঠিক পরিচালনার দায়িত্ব ডোনাল্ড লু-এর কাঁধে। মার্কিন সরকারের সঙ্গে ৩০ বছরেরও বেশি কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।

তবে বাংলাদেশের পর নাকি লুয়ের পরবর্তী লক্ষ্য ভারত। এমনটাই গুঞ্জন কূটনৈতিক মহলে।
ভারতে দীর্ঘ কূটনৈতিক ইনিংস খেলেছেন ডোনাল্ড লু। ১৯৯৬-৯৭ সালে ডোনাল্ড লু, ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সহকারী হিসাবে প্রথমবার এখানে আসেন। এরপর ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি এখানে রাজনৈতিক কর্মকর্তা ছিলেন। ২০০৯ সালে, তাকে ভারতে আমেরিকার চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং পরের বছর অর্থাৎ ২০১০ সালে, ভারতে আমেরিকান মিশনের ডেপুটি চিফ করা হয়েছিল লু-কে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশকে নাগালে পেতে উঠেপড়ে লেগেছে আমেরিকা। যার প্রধানত দুটি কারণ, প্রথমত আমেরিকা চেয়েছিল বাংলাদেশ যেন চিনের কাছাকাছি না যায়। পাশাপাশি বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান বিবেচনা করে যাতে ভারত, পাকিস্তান ও চিনের মতো দেশের ওপর নজর রাখতে পারে আমেরিকা তার বন্দোবস্ত করা।

তবে কোয়াডে একটি আসনের প্রস্তাব দিলেও শেখ হাসিনার সরকার সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। এরপর শেখ হাসিনার ওপর আমেরিকা একরকম বিরক্ত হয়। তার জেরেই এমন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণ নির্বাচনের ঠিক আগে বাংলাদেশ সফরে যান লু। তবে হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ফের ওপার বাংলায় সফর করেছিলেন। জানা গেছে, সাধারণ নির্বাচনের পর তিনি বাংলাদেশে একাধিক গোপন বৈঠকও করেছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনের আগে ও পরে ডোনাল্ড লু-এর বাংলাদেশ সফর হাসিনা সরকারের পতনের পিছনে দায়ী। কয়েক মাস আগেই পাকিস্তানে ইমরান খানের সরকারের পতনের পিছনেও কলকাঠি নাড়েন লু। আর তারপরই টার্গেট বাংলাদেশ। সেখানেও হাসিনা সরকারের পতনের মূল পাণ্ডা ডোনাল্ড লু‌।

Previous articleবিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা ও উন্নয়নের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleভারত ছাড়ো আন্দোলনের ৮২- তম বর্ষপূর্তিতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর