লাগাতার কর্মবিরতিতেও হেলদোল নেই, ‘বিশেষ কমিটি’ গঠন করে পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা কেন্দ্রের!   

আর জি কর (R G Kar) কাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। ইতিমধ্যে হাসপাতালের ভিতরেই ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রীতিমতো উত্তাল দেশ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে কর্মবিরতি শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। শনিবার দেশের একাধিক প্রান্তে নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে চিকিৎসকদের পাশাপাশি পথে নেমেছেন বহু সাধারণ মানুষ। দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জরুরি বিভাগে দেখাতে এসে চরম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। ইতিমধ্যে চিকিৎসকদের (Doctors) কর্মবিরতির জেরে কয়েকজন রোগীর মৃত্যুও হয়েছে বলে খবর। আর দেশে অচলাবস্থা চললেও বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে শুধু কয়েকবার বৈঠক করেই দায় সেরেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা (Union Health Minister J P Nadda)। ডিউটির সময় চিকিৎসকদের তরফে বারবার সুরক্ষা দেওয়ার দাবি জানালেও সেদিকে একেবারেই কর্ণপাত করেননি মোদি সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রী।

কিন্তু শনিবার ফের দেশজুড়ে ডাক্তাররা পথে নামতেই ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জে পি নাড্ডার ভূমিকা। হাসপাতালে ডিউটি চলাকালীন সব চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আর্জি জানিয়েছেন একাধিক সংগঠন। এতবড় কাণ্ডের পরও কেন মোদি সরকারের টনক নড়ল না তা নিয়ে ইতিমধ্যে উঠছে প্রশ্ন। বিরোধীদের মতে, শনিবার থেকে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করতেই চাপে পড়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন কমিটি তা সুপারিশ করবে বলে জানিয়েছেন নাড্ডা। জানা গিয়েছে, সকল স্টেকহোল্ডার বা অংশীদারদেরই এই কমিটির সদস্য করা হবে। এর মধ্যে রাজ্য সরকারের পরামর্শও সমান গুরুত্ব পাবে।

শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা ফেডারেশন অব রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (FORDA), ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA) ও রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনস অব গভর্মেন্টাল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালস-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি চিকিৎসকদের হুমকি-মারধরের ঘটনা বন্ধ করতে কেন্দ্র যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করে, সেই দাবিও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এদিন জানানো হয়। জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের কী কী প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়, সে সম্পর্কে সরকার অবগত। দ্রুত এই সমস্যা মেটানোর জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২৬টি রাজ্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা চেয়ে কড়া নিয়ম এনেছে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রী মুখে যাই বলুন, কবে এই সুরক্ষা বলয় তৈরি হবে বা আদৌ হবে কী না তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

 

Previous articleচ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে কি পাকিস্তান যাবেন বিরাট-রোহিতরা , কী বললেন বোর্ড সচিব ?
Next articleপ্রকাশ্যে আসতে ভয়, ডাক্তারদের তথ্য সিবিআই-কে দেবেন কুণাল