পুজো একটা অর্থনীতি,তা সচল রাখতেই রাজ্য অনুদান দেয়: কুণাল

যদি আপনারা তা প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে পুজোর সঙ্গে জড়িত সকলকে সাহায্য করতে পারবেন তো?

আরজি করের ঘটনা ঘিরে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এরই মাঝে বেশ কিছু পুজো কমিটি রাজ্য সরকারের অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে।এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, আরজি করের ঘটনার সঙ্গে পুজোর কী সম্পর্ক? পুজো একটা অর্থনীতি। সেই অর্থনীতিকে সচল রাখতেই মুখ্যমন্ত্রীর ওই অনুদান ঘোষণা। যদি আপনারা তা প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে পুজোর সঙ্গে জড়িত সকলকে সাহায্য করতে পারবেন তো?

কুণাল বলেন, পুজো মানে শুধু উৎসব বা ধর্ম নয়।পুজোকে ছোট করার কথা যারা বলছে, তারা ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে।আমরাও আরজি করের ঘটনার বিচার চাই, দোষীর ফাঁসি চাই।সিবিআইয়ের কাছে ২৩ তারিখের মধ্যে আদালতে তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাই।বিজেপি অরাজকতা করার চেষ্টা করছে। রাজ্য সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসংগঠিত মানুষের সাহায্যের জন্য পুজোর মাধ্যমে এই টাকাটা দিচ্ছে। সেটা নিতে বাধা দিচ্ছে যারা, তারা বাংলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে, মানুষকে বিপথে চালিত করছে।

কুণাল বলেন,পুজো মানে শুধু উৎসব বা ধর্ম নয়।আসল দুর্গাদের নিরাপত্তা বাড়ান বলে যারা বলছেন, তারা জেনে রাখুন বাংলায় আসল দুর্গারা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ।যারা ৮৫ হাজার টাকা নিচ্ছেন না, তাদের বলি, পুজো একটা অর্থনীতি। কুমোরটুলির মায়েরা অপেক্ষা করে থাকেন, কবে শরৎকাল আসবে। ডেকরেটর্স, আলো, প্রতিমাশিল্পী, ফুলচাষি, কুটিরশিল্প – এই সকলের কাছে যাতে টাকা পৌঁছয়, শ্রমজীবী মানুষ যাতে হাতে টাকা পান, তার জন্য ৮৫ হাজার টাকা দেওয়া। যারা বয়কট করছেন, তারা যেন গরিব মানুষের কাছে সেই টাকা পৌঁছে দিয়ে আসেন। এই টাকা যাতে পুজো অর্থনীতিতে সঞ্চালিত হয়, তার জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায় ৮৫ হাজার টাকা দিচ্ছেন।

আরজিকরের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী রবিবারের মধ্যে বিচারের সময় বেধে দিয়েছিলেন।এখন তো আদালতের নির্দেশে পুরোটাই সিবিআইয়ের হাতে।রবিবারের ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও কিছু করে উঠতে পারেনি।এসবের মাঝে পুজো নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়।

 

Previous articleপুলিশের ভূমিকার পোস্টে ‘ভুল তথ্য’ ছিল: হাই কোর্টে স্বীকার সুখেন্দুশেখরের, পোস্ট মুছলেন সাংসদ!
Next articleহাসপাতালের সুরক্ষায় এবার সেনা ও পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকদের নিয়োগ করবে রাজ্য