আর জি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত একমাত্র গ্রেফতার সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়। ভয়ঙ্কর ও নারকীয় ঘটনার পর থেকেই এই সঞ্জয়ের একের পর এক কু-কীর্তি সামনে আসছে। একাধিক বিয়ে, মহিলাদের ফোন নম্বর জোগাড় করে উত্যক্ত করা ইত্যাদি ইত্যাদি। একেবারে পাক্কা ক্রিমিনাল বললেও কম বলা হয়। ‘কীর্তিমান’ সঞ্জয়ের আরও একটি ভয়ংকর কীর্তি ফাঁস হল। ফাঁস করলেন ধৃত সঞ্জয়ের এক শাশুড়ি। সঞ্জয় রায়ের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর মা তিনি। অভিযোগ, মেয়ে যখন ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তখন তাঁকে মারধরে করতো সঞ্জয়। যার জেরে তাঁর মেয়ের গর্ভপাত হয়ে যায়। এই ঘটনায় তিনি পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করেন।এখনও তাঁর মেয়ে অসুস্থ।

সঞ্জয়ের দ্বিতীয় পক্ষের শ্বাশুড়ির কথায়, “২ বছর বিবাহিত ছিল আমার মেয়ে। আমার মেয়ের সঙ্গে এটা ছিল তার দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম দিকে ৬ মাস সবকিছু ভালোই ছিল। ভালোই চলছিল। কিন্তু মেয়ে যখন ৩ মাসের গর্ভবতী, তখন সঞ্জয় তাকে ভীষণভাবে মারধর করে। যার জেরে মেয়ের গর্ভপাত হয়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তারপর থেকেই আমার মেয়ে অসুস্থ। আমি-ই আমার মেয়ের ওষুধের সমস্ত খরচ বহন করি। সঞ্জয় একদম-ই ভালো ছেলে নয়। অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে। তারমধ্যে আমার মেয়ে একজন। ওকে ফাঁসি দেওয়া উচিত।”

জানা গিয়েছে, আর জি করের (RG Kar Hospital) ঘটনার দিন রাতেও এক মহিলাকে ভিডিও কল করে তাঁকে স্ট্রিপ করতে অর্থাৎ জামাকাপাড় খুলতে বলে ধৃত সঞ্জয়। এছাড়াও অনেক কীর্তি-ই সামনে এসেছে। তার মধ্যে একটি হল সে রোগীর বাড়ির লোকজনের ফোন নম্বর জোগাড় করে তাদের ফোন করত। কাশীপুরের এক তরুণীকে বিভিন্ন সময়ে ফোন করে এভাবেই উত্ত্যক্ত করত সঞ্জয়। মাস তিনেক আগে আর জি করে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। সঞ্জয় সে সময়ে তাঁকে সাহায্য করে। সেই সুযোগে ওই তরুণীর প্রেসক্রিপশন থেকে তার ফোন নম্বর দেখে নেয় সে। তারপর থেকেই ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আর জি করে আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইডি তদন্তের দাবি হাইকোর্টে
