ধর্ষণ-খুনে দ্রুত বিচার-কড়া শাস্তির আইন হোক: প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে দাবি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর

ধর্ষণ-খুন সারাদেশের সমস্যা। এসব মামলায় ১৫ দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি পাঠালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College And Hospital) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনে তোলপাড় দেশ। মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কিন্তু তার পরেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই সামাজিক ব্যাধি রুখতে এবার কড়া আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা। এই সব ঘটনার জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে ১৫ দিনের মধ্যে শুনানি শেষ করার পক্ষে চিঠিতে সওয়াল করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার, বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই চিঠিটি পড়ে শোনান মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রধানমন্ত্রী পাঠানো চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “গোটা দেশ জুড়ে যেভাবে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটছে তা নিয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিদিন দেশে গড়ে ৯০ জন মহিলার ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এতে দেশ ও সমাজের আত্মবিশ্বাস টলে যাচ্ছে। তাই এর অবসান ঘটানো জরুরি”।

এই প্রসঙ্গেই মমতার (Mamata Banerjee) দাবি, এই বর্বরতা রুখতে কড়া আইন প্রণয়ন করা উচিত। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার পাশাপাশি, শুনানির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গড়ে তোলা বলেও চিঠিতে লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৫ দিনের মধ্যে শুনানি শেষের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।

এর আগে, এদিন সকালে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay) জানালেন, “এমন কড়া আইন আনতে হবে যাতে ৫০ দিনের মধ্যে গোটা বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয় এবং দোষীরা শাস্তি পায়।” নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (X-Handle) অভিষেক লেখেন, “গত ১০ দিন গোটা দেশজুড়ে আর জি করের নৃশংস ঘটনার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ চলছে। এই সময় সারাদেশে ৯০০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঠিক যে সময় মানুষ রাস্তায় নেমে এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করছেন তখনই এই ধর্ষণগুলি হয়েছে। কিন্তু এখনও এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কোনও পদক্ষেপ করা হল না।”






Previous articleআর জি কর কাণ্ড: সন্দীপ ঘোষ সহ ৫ চিকিৎসকের পলিগ্রাফ টেস্টের সম্মতি আদালতের
Next articleওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল ইস্যুতে ‘ধীরে চলো’ নীতি! সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি রাজ্যের