প্রায় আড়াই মাস বাদে অবশেষে চালু হল বাংলা সিকিম লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তবে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হয়েছে। জাতীয় সড়ক দিয়ে চলবে শুধুমাত্র ছোট যান, যাত্রী বোঝাই ছোট গাড়ি এবং বাস। ভারী মালবোঝাই গাড়িকে আগের মতোই বিকল্প পথ ব্যবহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পূর্ত দফতরের তরফে জেলা প্রশাসনকে জাতীয় সড়কটি ছোট যান চলাচলের জন্য সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। সেইমতো কালিম্পং জেলা প্রশাসন শুক্রবার থেকে জাতীয় সড়ক দিয়ে ছোট যান চলাচল ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা জারি করে। এরপর এদিন সকাল থেকে ওই সড়ক দিয়ে শুরু হয় ছোট যান চলাচল। আর জাতীয় সড়ক খুলতেই স্বস্তিতে পর্যটনমহল থেকে সাধারণ মানুষ।


কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাশুভ্রমণিয়ম টি বলেন, “পূর্ত পূর্ত দপ্তর সবুজ সংকেত দেওয়ার পরেই শুক্রবার সকাল থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে ছোট যান চলাচলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনই ওই সড়ক দিয়ে ভারী যান চলাচল করবে না।” হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্রাভেল এন্ড ট্যুর ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বাংলা সিকিমের লাইফ লাইন। প্রতিদিন প্রচুর পর্যটকের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ওই সড়কের উপর নির্ভরশীল। জাতীয় সড়কটি বন্ধ থাকায় বেশ সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল পর্যটকদের। বিকল্প পথে প্রায় ৭০ কিলোমিটার বেশি পথ অতিক্রম করে সিকিম যেতে হচ্ছিল। আপাতত ছোট গাড়ি এবং যাত্রী বোঝাই ছোট গাড়ি চলাচল শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি।”

প্রসঙ্গত, ১৬ জুন কালিম্পংয়ের সেলফিদাড়া ও বিরিকদাড়ায় বড়সড় ধসের ঘটনা ঘটে। তাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। মাঝে তিন চাত দিনের জন্য রাস্তাটি খোলা হলেও ফের ধসের কারণে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। গোটা রাস্তাই ধসে যায়। পরে পাহাড় কেটে ফের তৈরি করার কাজ শুরু হয়। কিন্তু পাহাড়ের টানা বৃষ্টির জেরে লাগাতার ধসের ঘটনা ঘটে চলে। একদিকে সড়ক নতুন করে তৈরি করা হয়, অন্যদিকে লাগাতার ধসে নতুন করে ক্ষতি হচ্ছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। টানা ধস সরিয়ে সড়ক মেরামত ও সংস্কারের পর এদিন থেকে অবশেষে খুলে দেওয়া হয় জাতীয় সড়ক।


তবে নির্দেশিকায় জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সমস্ত ভারী ও মালবোঝাই গাড়ি স্বেতীঝোরা থেকে রংপো পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। সেইসমস্ত গাড়ি গরুবাথান দিয়ে ঘুরে লাভা, আলগাড়া, পেডং হয়ে সিকিমে চলাচল করবে। পাশাপাশি গরুবাথান থেকে পান্দারা হয়ে লাভা, আলগাড়া, পেডং হয়ে কালিম্পং যাওয়ার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

১২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে পেশক হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তাটিতে রবিঝোরা থেকে তিস্তাবাজার পর্যন্ত ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এছাড়া ছোট চারচাকা গাড়ি থেকে ৩২ সিটের বাস সকাল ছটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারবে। ছোট চারচাকা গাড়ি ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে চলবে।

আরও পড়ুন- যোগীরাজ্য সরকারি মর্গে, মহারাষ্ট্রে নাবালিকার গণধর্ষণ! মুখ পুড়ছে বিজেপির
