Saturday, December 27, 2025

আজ অনুমতিহীন নবান্ন অভিযান নিয়ে সতর্ক কলকাতা পুলিশ

Date:

Share post:

আর  জি কাণ্ডের প্রতিবাদী আন্দোলনের নাম করে ‘ছাত্র সমাজ’-এর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নবান্ন (Nabanna) অভিযানে গন্ডগোলের আশঙ্কায় ৬ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হল। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে জানানো হয়েছে হাওড়া যাওয়ার পথে কমবেশি ১৯টি জায়গায় ব্যারিকেড করা হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত বদল করা হবে। সকাল ৮টা থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছে বলে খবর মিলেছে। আজ পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে পথে থাকছেন ২৬ জন ডেপুটি কমিশনার (DC) পদমর্যাদার আধিকারিকও।

রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার (Supratim Sarkar) এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে যে সংগঠন এই মিছিলের ডাক দিয়েছে তারা কলকাতা পুলিশের কাছে কোনরকম অনুমতি চাইনি। পুলিশের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে নবান্নের কাছে কোন রকমের মিছিল করা সম্ভব নয় তার কারণ নতুন ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা আইনের ১৬৩ ধারা (পুরনো ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা) জারি থাকে। অর্থাৎ সেখানে পাঁচ বা তাঁর বেশি জনের জমায়েত বেআইনি। সোমবার সকালের সেই সাংবাদিক বৈঠকের পরেই তাঁদের কাছে দু’টি ইমেল এসে পৌঁছয় বলে জানা সুপ্রতিম। এর মধ্যে একটি ইমেল পাঠিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। কিন্তু তারা শুধুমাত্র কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেছেন, কোনও অনুমতি চায়নি। দ্বিতীয় ইমেলটি এসেছিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে। সেই ইমেলে নিয়ম মেনে অনুমতি চাওয়া হলেও সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। কলকাতা হাই কোর্টের নিয়ম মেনে কর্মসূচি সংক্রান্ত যে সমস্ত জরুরি তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয়, যেমন তাঁরা কোন পথে এগোবেন, কী কর্মসূচি , কোথায় অবস্থান করবেন, সেই সব তথ্য ছাত্র সমাজের তরফে জানানো হয়নি। পুলিশ এই মিছিলেকেও অনুমতি দেয়নি। ফলে আজকের এই কর্মসূচি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং বেআইনি। পাশাপাশি নবান্ন অভিযানের নেপথ্যে অশান্তির ছক কষা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর রয়েছে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক পুলিশ।

সোমবার সকালেই নবান্ন অভিযান নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিল তৃণমূল। দু’টি গোপন ভিডিয়ো প্রকাশ করে কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, নবান্ন অভিযানে গুলি চালানো হতে পারে।তথাকথিত ‘ছাত্র সমাজ’ ওই কর্মসূচির ডাক দিলেও এর নেপথ্যে অন্য চক্রান্তের ইঙ্গিত পাচ্ছে পুলিশ।মিছিলের সামনে মহিলা এবং ছাত্রদের রেখে আড়াল থেকে অশান্তি সৃষ্টি এবং অভিযান থেকে পুলিশকে বলপ্রয়োগ করতে উস্কানি দেওয়া হতে পারে বলেই মনে করছেন মনোজ বর্মা ও সুপ্রতিম সরকার। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে কোথায় কোথায় মিছিল আটকানো হবে তা স্পষ্ট করা হয়েছে। ১৯ জায়গায় তৈরি ব্যারিকেডের মধ্যে পাঁচ জায়গায় অ্যালুমিনিয়ামের দেওয়াল থাকছে। সকাল আটটা থেকে ৪ জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ৬ জন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, ২৬ জন ডিসির তত্ত্বাবধানে রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। কলেজ স্কোয়ার থেকে আসা মিছিল স্ট্র্যান্ড রোড এবং মহাত্মা গান্ধী রোডের সংযোগস্থলে আটকে দেওয়া হবে। এই এলাকায় ১ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ২ যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, ৮ অ‌্যাসিস্ট‌্যান্ট কমিশনার, ২০ জন ইন্সপেক্টর, ৯০ জন আধিকারিক এবং ৬০০ পুলিশকর্মী রয়েছেন।


spot_img

Related articles

‘জনগণমন’ প্রথম গাওয়া হয়েছিল আজকের দিনে, জাতীয় সংগীতকে স্মরণ অভিষেকের

জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে রচিত হওয়ার অনেক আগেই 'জনগণ মন অধিনায়ক জয় হে' গানটি রচিত হয়েছিল। কবিগুরুর সেই অমর...

তাপমাত্রার পারদের পতন অব্যাহত, শনিবার মরশুমের শীতলতম দিন

বছর শেষের বাংলা জুড়ে শীতের (Winter) জমাট ব্যাটিং, প্রতিদিনই নামছে তাপমাত্রার (Temparature)পারদ। কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে তাপমাত্রার পারদ...

শীতের আমেজে মিতিন মাসি স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে তারকা সম্ভার

মহিলা গোয়েন্দা চরিত্র হিসেবে বাঙালি পাঠকের মনে বড় অংশ জুড়ে আজও মিতিন মাসি( Mitin Masi)। আর সেই মিতিনকে...

গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে ইউক্রেনের রাজধানীতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ (Kyiv)। শনিবার ভোরের দিকে রাজধানী শহরের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ...