Monday, November 10, 2025

আজ অনুমতিহীন নবান্ন অভিযান নিয়ে সতর্ক কলকাতা পুলিশ

Date:

Share post:

আর  জি কাণ্ডের প্রতিবাদী আন্দোলনের নাম করে ‘ছাত্র সমাজ’-এর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নবান্ন (Nabanna) অভিযানে গন্ডগোলের আশঙ্কায় ৬ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হল। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে জানানো হয়েছে হাওড়া যাওয়ার পথে কমবেশি ১৯টি জায়গায় ব্যারিকেড করা হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত বদল করা হবে। সকাল ৮টা থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছে বলে খবর মিলেছে। আজ পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে পথে থাকছেন ২৬ জন ডেপুটি কমিশনার (DC) পদমর্যাদার আধিকারিকও।

রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার (Supratim Sarkar) এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে যে সংগঠন এই মিছিলের ডাক দিয়েছে তারা কলকাতা পুলিশের কাছে কোনরকম অনুমতি চাইনি। পুলিশের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে নবান্নের কাছে কোন রকমের মিছিল করা সম্ভব নয় তার কারণ নতুন ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা আইনের ১৬৩ ধারা (পুরনো ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা) জারি থাকে। অর্থাৎ সেখানে পাঁচ বা তাঁর বেশি জনের জমায়েত বেআইনি। সোমবার সকালের সেই সাংবাদিক বৈঠকের পরেই তাঁদের কাছে দু’টি ইমেল এসে পৌঁছয় বলে জানা সুপ্রতিম। এর মধ্যে একটি ইমেল পাঠিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। কিন্তু তারা শুধুমাত্র কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেছেন, কোনও অনুমতি চায়নি। দ্বিতীয় ইমেলটি এসেছিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে। সেই ইমেলে নিয়ম মেনে অনুমতি চাওয়া হলেও সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। কলকাতা হাই কোর্টের নিয়ম মেনে কর্মসূচি সংক্রান্ত যে সমস্ত জরুরি তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয়, যেমন তাঁরা কোন পথে এগোবেন, কী কর্মসূচি , কোথায় অবস্থান করবেন, সেই সব তথ্য ছাত্র সমাজের তরফে জানানো হয়নি। পুলিশ এই মিছিলেকেও অনুমতি দেয়নি। ফলে আজকের এই কর্মসূচি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং বেআইনি। পাশাপাশি নবান্ন অভিযানের নেপথ্যে অশান্তির ছক কষা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর রয়েছে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক পুলিশ।

সোমবার সকালেই নবান্ন অভিযান নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিল তৃণমূল। দু’টি গোপন ভিডিয়ো প্রকাশ করে কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, নবান্ন অভিযানে গুলি চালানো হতে পারে।তথাকথিত ‘ছাত্র সমাজ’ ওই কর্মসূচির ডাক দিলেও এর নেপথ্যে অন্য চক্রান্তের ইঙ্গিত পাচ্ছে পুলিশ।মিছিলের সামনে মহিলা এবং ছাত্রদের রেখে আড়াল থেকে অশান্তি সৃষ্টি এবং অভিযান থেকে পুলিশকে বলপ্রয়োগ করতে উস্কানি দেওয়া হতে পারে বলেই মনে করছেন মনোজ বর্মা ও সুপ্রতিম সরকার। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে কোথায় কোথায় মিছিল আটকানো হবে তা স্পষ্ট করা হয়েছে। ১৯ জায়গায় তৈরি ব্যারিকেডের মধ্যে পাঁচ জায়গায় অ্যালুমিনিয়ামের দেওয়াল থাকছে। সকাল আটটা থেকে ৪ জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ৬ জন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, ২৬ জন ডিসির তত্ত্বাবধানে রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। কলেজ স্কোয়ার থেকে আসা মিছিল স্ট্র্যান্ড রোড এবং মহাত্মা গান্ধী রোডের সংযোগস্থলে আটকে দেওয়া হবে। এই এলাকায় ১ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ২ যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, ৮ অ‌্যাসিস্ট‌্যান্ট কমিশনার, ২০ জন ইন্সপেক্টর, ৯০ জন আধিকারিক এবং ৬০০ পুলিশকর্মী রয়েছেন।


spot_img

Related articles

ধর্মীয় বই কিনতে গিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণার ফাঁদে কলকাতা ইসকন! গ্রেফতার ১ 

ধর্মীয় বই কেনার অর্ডার দিতে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হল কলকাতা ইসকন। অভিযোগ, অর্ডার অনুযায়ী...

বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের সৌজন্যে হারানো পুলিশের চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বাবা

কয়েকদিন আগেই আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ(ICC World Cup)  জিতেছে ভারতীয়  মহিলা দল। মেয়েদের সাফল্যে গর্বিত মা-বাবারা। তবে বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের...

গ্যাস-সমস্যায় নিঃশ্বাসের পরীক্ষা: যুগান্তকারী আবিষ্কারে বিশ্বে স্বীকৃতি বাঁকুড়ার চিকিৎসকের

একটি সাধারণ সমস্যা, যাতে জর্জরিত বর্তমান যুবসমাজ থেকে শিশুরা পর্যন্ত। গ্যাস বা গ্যাসট্রাইটিসের মতো সমস্যা নির্ধারণ করার জন্য...

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বাড়তে পারে আসন সংখ্যা, জানালো এসএসসি 

রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী,...