‘রাস্তায় নামলেই প্রতিবাদ হয় না’, তিলোত্তমার গানে বিশেষ বার্তা অরিজিতের

‘এ ব্যাথা আমার, নয় শুধু একার

বিপ্লবী তিলোত্তমা করেছে অঙ্গীকার

লুটিয়েছে প্রাণ তাই ধরেছি গান

করছি প্রার্থনা বিফল না যায় সে বলিদান…’

কলকাতার আর জি কর হাসপাতালের (RG Kar Medical College and hospital) ঘটনার প্রতিবাদে এই লাইনগুলোকেই গিটারের সুরে বাঁধলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গায়ক অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচারের দাবিতে যখন উত্তাল সব মহল, তখন গায়কের নাম নিয়ে একাধিক ভুয়ো পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। অরিজিৎ নিজেই জানিয়েছিলেন বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাঁর আস্থা রয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর প্রায় দু সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে, তদন্তভার গ্রহণ করার পর সিবিআই (CBI) এখনও পর্যন্ত কোনও আলো দেখাতে পারেনি। এই গানে গানেই অরিজিতের প্রার্থনা, যেন তিলোত্তমার বলিদান ব্যর্থ না হয়। এদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ‘উই আর অরিজিতিয়ানস’ ফেসবুক ফেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় যেখানে সামনে রয়েছে অরিজিতের ছবি আর নেপথ্যে ‘আর কবে’ শীর্ষক গান।

অরিজিতের নতুন গান প্রকাশে আসার পর থেকে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যে এই গানটি পুরনো না নতুন? কিছু কথার সঙ্গে মিল এবং তিলোত্তমার শব্দের ব্যবহারেই কি আর জি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে এই গান গাওয়া হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়? এইসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। সমাজ মাধ্যমে যে হারে অরিজিতের নামে ভুয়ো পোস্ট ছড়াচ্ছে, তাঁর পুরনো ভিডিও বা লেখা নিয়ে সেটাকে এখনকার বলে চালানো হচ্ছে তাতে গায়কের নতুন গানকেও সংশয়ের বাইরে রাখছেন না নেটিজেনদের একাংশ। কেন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন না মুর্শিদাবাদের ছেলেটা? তাহলে কি? মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেললেন অরিজিৎ? ঠিক এভাবে যখন একগুচ্ছ প্রশ্ন ধেয়ে আসছে তখনই ‘উই আর অরিজিতিয়ানস’ নামেরই ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে মঙ্গলবার অরিজিতের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে যেখানে মাইক্রোফোনের সামনে অরিজিৎ বলছেন, “(রাস্তায়) নেমে গেলেই তো আর হল না। সবাই নামছে তো। আছি আমরা সবাই। নেমে বিশৃঙ্খলা না হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে গেলে তো হবে না। কেউ একটা যদি ভাবে সুযোগ নেবে, সুযোগ নিতেই পারে। যাঁরা তোমাদেরকে রাগাচ্ছে তোমরা রেগে যেও না। ওরাও কোথাও একটা দুঃখ পেয়ে বলছে। অনেক ভেবেচিন্তে কাজ করতে হয়। আমি রাস্তায় নামলে সেলফি তোলার ভিড়ই বেশি হবে।” গায়কের কথায়, এই অস্থির সময়ে সঠিক নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একজন সুভাষচন্দ্র বসু কিংবা স্বামী বিবেকানন্দকে প্রয়োজন।



Previous articleপাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়া নিয়ে কী বললেন কুলদীপ ?
Next articleনি.রাপত্তা বেআব্রু,অন্ধ্রপ্রদেশে হাসপাতালের বে.ডে মহিলা চিকিৎসকের মা.থা ঠুকে দিল রোগী!