দেহ উদ্ধারের দিন কখন কোথায় ছিলেন সন্দীপ ঘোষ?সিবিআই জেরায় উঠে এলো তথ্য

সিবিআই দফতরে সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) ডেইলি প্যাসেঞ্জারি লেগেই রয়েছে। আজ, শুক্রবার ফের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এই নিয়ে ১৬ দিনে ১৫ বার হাজিরা দিলেন তিনি। সকালে যান , রাতে বাড়ি ফেরেন। সব মিলিয়ে ১০০ ঘণ্টার বেশি কেন্দ্রীয় এজেন্সির জেরার মুখে পড়েছেন।

আজ, শুক্রবারও বেলা ১১টা নাগাদ সিবিআই দফতরে পৌঁছন তিনি। ইতিমধ্যেই কোর্টের অনুমতিতে তাঁর পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে। গত রবিবার তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতেও সিবিআই আধিকারিকরা পৌঁছে গিয়েছিলেন। লাগাতার সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) জিজ্ঞেসাবাদ করার পরেও কোনও যোগসূত্র কী আদৌ পেয়েছে সিবিআই? নাকি এখনও অন্ধকারেই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা? নেই কোনও সলিড লিড। নেই কোনও ব্রেক থ্রু। সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে শুধু রাজ্যের মানুষ নয়, বিরক্ত খোদ নির্যাতিতার পরিবারও।

এদিকে ঘটনার দিন সম্পর্কে কী বলছেন সন্দীপ? অসমর্থিত সূত্রে খবর, সন্দীপ তদন্তকারীদের বলেন, ওইদিন সকাল ১০টা নাগাদ তিনি বাড়িতে ছিলেন। প্রতিদিনের মতো হাসপাতালে আসবেন বলে স্নান করছিলেন। সেই সময়ে হাসপাতালের তরফেই সুমিতা রায় তপাদার তাঁকে ফোন করেন। তিনি তখন বাথরুমে ছিলেন বলে ফোন ধরতে পারেননি। ফলে কল মিসড হয়। পরে তিনি কল ব্যাক করেন।

সন্দীপ আরও জানান, সুমিতা তাঁকে দেহ উদ্ধারের কথা জানান। কিছুক্ষণের মধ্যে হাসপাতালে রওনা দেন তিনি। ওসি টালা, অ্যাডিশনাল এমএসভিপিকে ফোন করেন। ওসি টালার ফোন পেয়ে তাঁকে ঘটনাস্থল সিকিউর করতে বলেন। সেই সঙ্গে কল করেন সুদীপ্ত রায়, চেষ্ট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকেও। সকাল এগারোটা নাগাদ তিনি আর জি করে পৌঁছন।

তাঁর বয়ান মিলিয়ে দেখতে সিবিআই জিজ্ঞেসাবাদ করেন তাঁর গাড়ির চালককেও। কিন্তু ঘটনার পরবর্তী সময়ে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে এখনও একাধিক জায়গায় ধোঁয়াশা রয়েছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। কিন্তু সন্দীপকে গ্রেফতারের মতো এখনও কোনও ক্লু বা তথ্য প্রমাণ হাতে নেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

আরও পড়ুন: ধর্ষণে কঠিন শাস্তির দাবি: প্রধানমন্ত্রীকে দ্বিতীয় চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর, ব্যাখ্যা মহিলা কমিশনকে

 

 

Previous articleফের যোগী রাজ্যে বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, ধৃত ব্যবসায়ীর বাড়িতে আগুন
Next article“সেই এক ফাটা রেকর্ড!” ট্রাম্পের প্রসঙ্গ উঠতেই রেগে লাল কমলা হ্যারিস