Thursday, August 21, 2025

টাকা নিয়ে ধর্ষিতাকে মুখ বন্ধ করতে চাপ যোগী-পুলিশের!

Date:

Share post:

ফের প্রকাশ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে নারী নির্যাতন ও পুলিশ-প্রশাসনের অরাজকতা। উত্তরপ্রদেশে (Utter Pradesh) অভিযুক্তের কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে মুখ বন্ধ করার জন্য ধর্ষিতা নাবালিকাকে চাপ দিচ্ছে পুলিশ (Police)! অভিযোগ ঘিরে জোর চর্চা। আর জি কর হাসপাতালে (R G Kar Medical College And Hospital) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনে গেরুয়া শিবির প্রতিবাদে সামিল। অথচ বিজেপিশাসিত রাজ্যেই শুধু নাবালিককে নির্যাতনই নয়, তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ারের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠছে।

নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, অঙ্কিত বর্মা নামে এক বিবাহিত যুবক গত ২২ অগাস্ট একজন নাবালিকাকে গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গাজিয়াবাদের একটি হোটেলে ধর্ষণ করে। কিশোরীকে টানা তিনদিন ধরে আটকে রেখেও লাগাতার ধর্ষণ করা হয়। এরপরে ২৫ অগাস্ট নাবালিকাকে তার বাড়ির সামনে গিয়ে ছেড়ে আসে অঙ্কিত। দেওয়া হয় হুমকিও। সেই অভিযোগ জানাতে বরাবাঁকি জেলার স্থানীয় মাসাউলি থানায় গেলে সেখানেও কিশোরীকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।

নির্যাতিতার অভিযোগ, ইন্সপেক্টর অরুণ প্রতাপ সিংহ অভিযোগ নিতে দেরি করেন। শুধু তাই নয়, পরামর্শ দিয়েছিলেন অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ‘মুখ বন্ধ’ করার।

পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠতেই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। ঘটনার তদন্তে নামেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তের পরে ইন্সপেক্টর অরুণকে অপসারণ ও সাব ইন্সপেক্টর মনোজ কুমারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ধর্ষণে অভিযুক্ত অঙ্কিতকে। আটক করা হয়েছে ধৃতের ভাইকেও।

এর আগেও ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্য গুজরাটে বিলকিস বানোর ধর্ষকরা মুক্তি পেয়ে গিয়েছিল। মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছিল তাদের। তবে ফের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে জেলে যেতে হয়েছিল। শনিবার নারী নির্যাতনের দোষীদের দ্রুত শাস্তির কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narenda Modi)। অথচ তাঁরই কেন্দ্র বারাণসী থেকে ছাত্রী গণধর্ষণে অভিযুক্তরা মাত্র ৭ মাসে ছাড়া পেয়ে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে আবার দু’জন বিজেপি আইটি সেলের কর্মী। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে তাদের মালা পরিয়ে ‘সম্বর্ধনা’ জানানো হয়েছিল। বাংলায় আর জি করের ঘটনায় প্রথম থেকেই কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশই (Police) প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। মৃতার পরিবারকে সব রকম সহযোগিতা করছে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু ডবল ইঞ্জিনের সরকারের রাজ্যের ছবিটা পুরো উল্টো।











spot_img

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...