রাজ্যের খাদ্য দফতর রেশনে সরবরাহ করা আটার গুণগত মান বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে। খাদ্য দফতরের নথিভুক্ত মিলগুলি পরিদর্শন করে এবিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এজন্য দুজন আধিকারিককে নিয়ে মোট ১৫টি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দল বিভিন্ন জেলায় গিয়ে মিল পরিদর্শন করবে। তারপরে জেলার ফুড সেলের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। সেই রিপোর্ট রাজ্য পর্যায়ের কমিটির কাছে পাঠানো হবে। লিখিত রিপোর্টের পাশাপাশি পেনড্রাইভে ময়দা কলের সাধারণ ও ভিডিও ছবি জমা দিতে বলা হয়েছে। গম থেকে আটা উৎপাদনের কাজ করার জন্য ময়দা কলগুলিকে নতুন করে নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গম ভাঙানোর কাজে যুক্ত থাকার জন্য আগ্রহী মিলগুলির কাছ থেকে আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ১৫৪টি মিল কাজ করার আবেদন চেয়েছে। এবার খাদ্যফতরের আধিকারিকরা ওই মিলগুলি পরিদর্শন করে দেখবেনশ ভালো মানের আটা উৎপাদনের পরিকাঠামো সেখানে আছে কি না।

রাজ্যের জেলা শহর ও পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত সংশোধিত রেশন এলাকার গ্রাহকদের প্যাকেটের আটা দেওয়া হয়। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি শহরাঞ্চলের বিধিবদ্ধ রেশন এলাকাতে গম দেওয়া হয়। গম ভাঙিয়ে আটা উৎপাদনের খরচ রাজ্য সরকার বহন করে। তাই রেশন গ্রাহকরা আটাও এখন বিনা পয়সায় পান। আটার সঙ্গে ভিটামিন, আয়রন প্রভৃতি যুক্ত করে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করা হয়। এই প্রক্রিয়া মিলে করা হয়। কিন্তু রেশনে সরবরাহ করা আটার গুণমান নিয়ে মাঝে মাঝে অভিযোগ ওঠে। নিম্নমানের আটা সরবারহ করার অভিযোগে খাদ্যদফতর সংশ্লিষ্ট ময়দা কলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে। এবার নতুন করে ময়দা কল বাছাই করার সময় সেখানে উন্নত মানের আটা উৎপাদনের জন্য সরকার নির্ধারিত ব্যবস্থা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শন করবেন খাদ্যদফতরের আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন- সব মিথ্যে! বাড়িতে হানা দেওয়া ইডি-কে দেখেই জ্বলে উঠলেন সন্দীপের স্ত্রী
