দ্রুত কাজে ফিরুন জুনিয়র চিকিৎসকরা: করুণাময়ী থেকে দাবি দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের

চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আর্জি জানিয়েছে, সেভাবেই প্রান্তিক মানুষদের কথা ভেবে চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আবেদন করা হয় মঞ্চের তরফ থেকে

একমাস পেরিয়েছে। আর জি করের নির্যাতিতার বিচার এখনও অধরা। সিবিআইয়ের কাছে দ্রুত বিচার চেয়ে আগেই পথে নেমেছে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ। যতদিন বিচার হচ্ছে ততদিন চিকিৎসা পাচ্ছেন না রাজ্যের মানুষ। লাগাতার কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা। দুর্দশায় সাধারণ মানুষ। এবার চিকিৎসকদের দ্রুত কাজে ফেরার দাবি জানালো গণমঞ্চ। সেই সঙ্গে রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা বাইরে গিয়ে অত্যাচারিত, এমনকি মৃত্যুও হচ্ছে তাঁদের। সেই অসহায় পরিবার ও পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের।

আর জি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্নায় বসেছেন, রয়েছেন কর্মবিরতিতে। তার গুনাগার দিতে হচ্ছে সাধারণ, গরিব এবং প্রান্তিক মানুষদের নিজেদের জীবন দিয়ে। দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের প্রতিনিধিরা প্রশ্ন তোলেন, সাধারণ মানুষের কি এটাই প্রাপ্য? সাধারণ মানুষরা কী দোষ করলেন, এই প্রতিবাদের জেরে তাঁদের কেন মারা যেতে হবে, তাঁদের দোষ কোথায়? এখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে গণমঞ্চের প্রশ্ন, কেন তদন্তে এত দেরি হচ্ছে তাদের? সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাঁরা আবেদন করেন যাতে সিবিআই যাতে তাড়াতাড়ি দোষীদের ধরতে পারে সেই চাপ যেন দেওয়া হয় এবং মূল দোষীদের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি যেন দেওয়া হয়।

তবে শুধু রাজ্য নয়, রাজ্যের বাইরে যেখানে রাজ্যের মানুষ নিপীড়ন ও মৃত্যুর মুখে পড়েছেন, সেই সব ক্ষেত্রেই সরব দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ। বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে সুর চড়ান তাঁরা। সাবির মল্লিক বা মোতি গাজির মতো বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা যেন বাইরে কাজে গিয়ে ভুল সন্দেহে এবং অত্যাচারে প্রাণ না হারান, দাবি জানান তাঁরা।

রাজ্য সরকার যেভাবে সাধারণ মানুষের সমস্যা মেটাতে চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আর্জি জানিয়েছে, সেভাবেই প্রান্তিক মানুষদের কথা ভেবে চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আবেদন করা হয় মঞ্চের তরফ থেকে। সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রতিবাদে যোগ দেন বিধাননগর কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সন সব্যসাচী দত্ত, সাংসদ দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসু। সভায় ছিলেন প্রবীণ বাম নেতা বিশ্বনাথ চক্রবর্তী ও সমীর পুততূণ্ড, প্রবীণ সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত, সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য, সঙ্গীত শিল্পী সৈকত মিত্র, পর্ণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, জাতীয় বাংলা সম্মেলনের সভাপতি সিদ্ধব্রত দাস, অভিনেতা ভিভান ঘোষ, রাহুল চক্রবর্তী, অনন্যা চক্রবর্তী। এই দিনের পথসভায় গান শোনান পর্ণাভ, অমিত কালি ও রাজা রাই।

Previous article২০২৪ এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতীয় হকি দল
Next articleফুঁসছে একের পর এক নদী, বন্যা মোকাবিলায় হিমসিম যোগী প্রশাসন