শহরের রাস্তায় আঁকা মা দুর্গার ছবি পায়ের তলায়! প্রতিবাদের নামে অসম্মান দেখে বিতর্ক তুঙ্গে

কিন্তু তার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মা দুর্গাকে এভাবে অপমান মানতে চাইছেন না অধিকাংশই।

এমন দৃশ্য দেখতে হবে কেউই ভাবেন নি।অথচ বাস্তব ঘটনা হল, রীতিমতো পায়ের তলায় মা দুর্গার ছবি দেখে বিতর্ক তুঙ্গে।ভাবতে পারেন, কেউ মায়ের ছবিতে থুতু ফেলছেন,কেউ জুতো পরে মাড়িয়ে দিচ্ছেন ত্রিনয়ন।যারা এটা করছেন, তারা নিজেদের অজান্তেই এমন পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছেন।রাস্তায় আঁকা মা দুর্গার এই অসম্মান মানতে পারছেন না পুরোহিত থেকে পুজোপ্রেমীরা, এমনকী সাধারণ মানুষও। অবশ্যই প্রতিবাদ চলুক, বিচার সবাই চাইছেন। কিন্তু তার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মা দুর্গাকে এভাবে অপমান মানতে চাইছেন না অধিকাংশই।

সম্প্রতি আরজি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে রাজপথে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতার রাস্তায় নানা ধরণের গ্রাফিতি আঁকা হচ্ছে। বিচার চেয়ে আন্দোলনকারীদের একাংশ রাজপথে মা দুর্গার ছবি এঁকেছেন।আর রাস্তায় আঁকা দুর্গার ছবির উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে জুতো পরা পা, নোংরা গাড়ির চাকা। রাস্তায় আঁকা দশভুজার উপর এসে পড়ছে সিগারেটের টুকরো!আর এই বিষয়েই আপত্তি আম জনতার।

শাস্ত্রজ্ঞরা বলছেন, হাতে আঁকা দুর্গা জুতো পায়ে মাড়িয়ে নিহত ওই তরুণী চিকিৎসককেও অসম্মান করছেন আন্দোলনকারীরা। অপমান করছেন বাংলার প্রতিটি মা-কে। তাদের বক্তব্য,  আমরা মন্ত্রোচ্চারণের সময় বলি, ইয়া দেবী সর্বভুতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা।আসলে প্রত্যেকটা মায়ের মধ্যেই তিনি প্রকট। দুর্গাকে অপমান করা মানে সমস্ত মায়েদের অপমান করা।

ক্ষুব্ধ শহরের পুজো আয়োজকরা।ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু জানিয়েছেন, তিলোত্তমা বিচার পাক। কিন্তু রাস্তায় মা দুর্গার ছবি এঁকে যেটা হল, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।রাস্তায় মা-কে ফেলে তাঁর গায়ে কেউ মাড়িয়ে চলে যাবেন এটা আমাদের কাছে কল্পনাতীত। পুরোহিতদের কথায়, দশভুজাকে নিয়ে যা হচ্ছে তা অত্যন্ত অযৌক্তিক। আমরাও চাই বিচার পাক নিহত তরুণী। কিন্তু রাস্তায় ঠাকুর এঁকে কেউ কেউ আন্দোলন করে চলে গেলেন। তার পর মায়ের মুখের ওপর দিয়ে জুতো পরে সবাই হেঁটে যাচ্ছে! এটা মানা যায় না।এটা অন্যায়। দ্রুত এটা বন্ধ হওয়া দরকার।











 

Previous articleনারীতেই ভরসা, দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন অতিশি
Next articleরাজনীতির মঞ্চ নয়: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি