মুছে ফেলতে হবে নির্যাতিতার নাম-পরিচয়, উইকিপিডিয়াকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ – মৃত্যুর ঘটনায় চারপাশে নিন্দা আন্দোলনের ঝড়। প্রতিবাদে মুখর স্যোশাল মিডিয়ায় ছেয়ে যায় নির্যাতিতার ছবি – ভিডিও। ছড়িয়ে পড়ে রাজ্য দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। এই নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টও উদ্বেগপ্রকাশ করেছিল। তারপরও আর জি করের ঘটনা সম্পর্কে গুগ্‌লে ‘সার্চ’ করলে এখনও উইকিপিডিয়ার পাতায় দেখা যাচ্ছে নির্যাতিতার নাম। এবার কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। অবিলম্বে উইকিপিডিয়াকে নির্যাতিতার নাম পরিচয় এবং ছবি মুছে ফেলার নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন (DY Chandrachud) বেঞ্চ স্পষ্ট ।

ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতিতার নাম-পরিচয় ব্যবহার না করার ব্যাপারে ভারতীয় আইনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেউ সেই নিয়ম মানছে না। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরই সমাজমাধ্যমের পাতা থেকে নির্যাতিতার নাম এবং ছবি সরতে শুরু করে। এ বিষয়ে পুলিশও পদক্ষেপ করেছিল। এই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত এর আগেও নির্যাতিতার নাম এবং ছবি প্রকাশ্যে আনা নিয়ে সমালোচনা করেছিল।কেউ যাতে নাম-পরিচয় প্রকাশ না করেন, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপরও এদিন শুনানিতে এই প্রসঙ্গ উঠল ডিওয়াই চন্দ্রচূড় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সমাজমাধ্যমে বা সংবাদমাধ্যমে মৃতার পরিচয় প্রকাশ্যে আনা যাবে না এবং অবিলম্বে উইকিপিডিয়াকে নির্যাতিতার পরিচয় সরিয়ে ফেলতে হবে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (BNS) ৭২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের ঘটনায় কেউ যদি নির্যাতিতার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন, তবে তাঁকে দোষী হিসাবে গণ্য করা হবে। সেক্ষেত্রে দোষীর জরিমানা ও কারাবাস পর্যন্ত হতে পারে। যদিও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উইকিপিডিয়ায় জ্বলজ্বল করছে নির্যাতিতার নাম।


Previous articleগুজরাটে বাংলার ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু! পুলিশি গাফিলতির অভিযোগে সরব পরিবার 
Next articleকুয়াশার অজুহাত! শীতকালে চলবে না অনেক ট্রেন, জানালো রেল