ফের জল ছাড়ল ডিভিসি, দক্ষিণবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর নবান্ন 

ব্যারেজের ছাড়া জলে বিপদের প্রহর গুনছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অনুরোধকে তোয়াক্কা না করে গত তিনদিন ধরে দফায় দফায় জল ছাড়ছে ডিভিসি (DVC)। আর তাতেই বাংলায় বিপদের আশঙ্কা। বুধবার ২ লক্ষ ৫৭ হাজার কিউসেক জল ছাড়লো দুর্গাপুর ব্যারেজ। পাঞ্চেত থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক এবং মাইথন থেকে ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হল। যার ফলে দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। ইতিমধ্যেই ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে নবান্ন (Nabanna)। ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবেলা টিম (SDRF ) বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিম্নচাপ সরেছে, কিন্তু যে হারে DVC জল ছাড়ছে তাতে হাওড়া, হুগলির অবস্থাও শোচনীয়। মঙ্গলবার রাত থেকেই হুগলির খানাকুলের বিভিন্ন ব্লক থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বুধবার বিকেলের পর থেকে হাওড়ার আমতা এলাকায় জল বাড়ার আশঙ্কায় সেখানকার জেলা শাসককে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্লাবনের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই ১০ জেলায় ১০ সচিবকে মোতায়েন করা হয়েছে। দামোদরের নিম্ন অববাহিকার একাধিক অঞ্চল প্লাবিত। শিলাবতী, কাঁসাই, দামোদরের জলে ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম।। দ্রুত বাঁধ মেরামতির জন্য শেষ দফতরের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রাখার পাশাপাশি উদ্ধার কাজেও জোর দেওয়া হয়েছে। নবান্ন এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে ২৪ ঘণ্টার বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।


Previous articleরাতের কলকাতায় আক্রান্ত পুলিশ, আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট ভর্তি ন্যাশনাল মেডিক্যালে
Next articleদাবি মেনেছেন মুখ্যমন্ত্রী, মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে; এখনও কর্মবিরতি কেন, প্রশ্ন আমজনতার