Tuesday, August 26, 2025

DVC জল ছাড়বে আর মানুষ মরবে, কোনও ‘মানুষ মারা’ সংস্থাকে চাই না! বীরভূমে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

Share post:

গত কয়েকদিন থেকেই রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে প্লাবিত এলাকায় ঘুরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হুগলি, হাওড়া, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর সফরের পরে সোমবার তিনি যান পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, দুর্গাপুর। মঙ্গলে বীরভূম। আর সেখান থেকে ফের মাত্রাতিরিক্ত জল ছাড়ার জন্য দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ”DVC জল ছাড়বে আর মানুষ মরবে”! এদিন ডিভিসি-র সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না বলে ফের জানান মুখ্যমন্ত্রী।ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টি। তার জেরে মাইথন-পাঞ্চেত থেকে বিপুল জল ছাড়ছে DVC। ফলে বানভাসি বাংলা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, বাংলার বৃষ্টি এখানে বন্যা হয় না। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আমাদের ভয় হয়। DVC বাংলায় ম্যান মেড বন্যা করে। মমতা বলেন, এখন ডিভিসি-র জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত জলশক্তি মন্ত্রক থেকে নেওয়া হয়। তারা বাংলাকে ভাসায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখনও খানাকুল ১-২, উদয়নারায়ণপুর, হাওড়া, ঘাটাল জলের তলায়। বীরভূমের লাভপুর, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখনও জলমগ্ন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এদিন বীরভূমের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দুপুরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে সমস্ত নির্দেশ দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ফের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি-কে আক্রমণ বলেন মমতা। বলেন, ”ডিভিসি জল ছাড়বে আর মানুষ মরবে!”তোপ দেগে মমতা বলেন, ”আমরা কোনও মানুষ মারা সংস্থাকে চাই না।” তিনি জানান, ”ডিভিসি থেকে আমাদের চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদত্যাোগ করেছেন। প্রতিনিধি পাওয়ার সচিব শান্তনু বোস পদত্যাাগ করেছেন। আমরা চাই না এমন সংস্থা যারা জল ছেড়ে মানুষ মারে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”কলকাতা থেকে তো সব সরিয়ে নিয়েছে। পাওয়ার ডিরেক্টর নেই। কলকাতায় একটা বিল্ডিং থাকবে। আর কলকাতার কথা শুনবে না? বাংলার লোক মারবে? মানুষ আগে না, একটা কাঠামো আগে? এখানে যারা থাকে তারা আরাম কেদারায় বসে থাকে।”
আরও খবর: ওষুধের নামে ট্যালকম পাউডার! উত্তরপ্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্রে হাওলায় জাল ট্যাবলেট
মুখ্যমন্ত্রী কথায়, ”ডিভিসি তৈরি হয়েছিল বন্যা থেকে মানুষ বাঁচাতে। চার লক্ষ কিউসেক জল রাখতে পারে। কিন্তু সব জল ছেড়ে দিচ্ছে। তিনতলা সমান জল। কুড়ি বছর ধরে ড্রেজিং করে না। ফারাক্কায় ড্রেজিং করে না। মানুষকে জলে ডুবিয়ে মারে। বাংলাকে তো পাহাড় বানাতে পারি না। দার্জিলিংও ভুটান আর নেপালের জলে ডোবে।”

কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যআমন্ত্রী বলেন, ”ইসিএল রঘুনাথপুরে একটি প্লযা ন্ট বিক্রি করে দিচ্ছে। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম বাংলাকে দুই লক্ষ কোটির প্রজেক্ট দিয়েছিলাম। তখন কিছু হলেই খবর।” তীব্র কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ”রেলে কী অবস্থা। প্রতিদিন ডিরেলমেন্ট? ডিরেইলমেন্টে তো বিশ্ব রেকর্ড করছে ভারতীয় রেল। মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত। শুধু ভোট চাইতে এলে হবে? বিপদে মানুষের পাশে থাকতে হবে।”









spot_img

Related articles

দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যে ডেঙ্গি-উদ্বেগ! টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে আশঙ্কা 

দুর্গোৎসবের মুখে একদিকে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যবাসীর কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে...

মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী! কিনলেন শাড়ি 

বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় এসে হঠাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মহিলাদের হাতের কাজই ঘুরে দেখলেন না, কেনাকাটাও...

ধনধান্যে ভরে, মা এসেছে ঘরে: মুখ্যমন্ত্রীর লেখা-সুরে গান এবার দুর্গাপুজোয়

বাংলা ও বাঙালির বড় উৎসব আর পুজোর গান— এক অপূর্ব মেলবন্ধন। এখন দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে মণ্ডপে বাজে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা...

প্রধানমন্ত্রী বাংলা ছাড়তেই জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারি তৃণমূলকে অপদস্থ করার চক্রান্ত, তোপ কুণালের      

ইডির (ED) হাতে জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) গ্রেফতারি আসলে তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) অপদস্থ করার চক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রী বাংলায়...