আজ মহালয়া (Mahalaya) । শাস্ত্র মতে আজই পিতৃপক্ষের অবসান। পুজো পুজো (Durga Puja festival mood) গন্ধ নিয়ে আশ্বিনের শারদ প্রাতে বাঙালির ঘুম ভেঙেছে বীরেনবাবুর উদাত্ত কণ্ঠে। এরপর ঘাটে ঘাটে চলছে তর্পণ। চলতি বছর ১ অক্টোবর (মঙ্গলবার)রাত ৯/৪/৪৯ মিনিট অমাবস্যা তিথি শুরু হয়েছে এবং থাকবে ২ অক্টোবর (বুধবার) রাত ১১/৫/৩৭ মিনিট পর্যন্ত। প্রতি বছরের মত এবারও ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই গঙ্গা তীরবর্তী মহানগরীর বিভিন্ন ঘাটে অসংখ্য মানুষের ভিড়। বাগবাজার ঘাট থেকে শুরু করে শোভাবাজার, আহিরীটোলা, বাবুঘাট সর্বত্রই চলছে পিতৃতর্পণ। পাশাপাশি কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে মণ্ডপের দিকে। তাই সকাল থেকেই কলকাতার রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ (Kolkat Traffic Police)।

শাস্ত্রমতে মহালয়াতে দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়। মনে করা হয়, দুর্গাপুজোর সূচনা হয় এই উপচারের মাধ্যমেই। মহালয়া শব্দটির অর্থ, মহান আলয় বা আশ্রম। এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাই হলেন, সেই মহান আলয়। মহালয়ার পরের দিন থেকে মাতৃপক্ষের সূচনা অর্থাৎ পুজোর পুরোদস্তুর কাউন্টডাউন শুরু। এরপর একে একে প্রতিপদ, দ্বিতীয়া ,তৃতীয়া, চতুর্থী পেরিয়ে মহাপঞ্চমীতে জমজমাট দুর্গোৎসব। নবরাত্রীর সূচনাও এদিন থেকেই দেবীপক্ষের প্রথম দিন থেকেই। এবছর মহালয়াতেই সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse) ফলে দিনটির জ্যোতিষ মাহাত্ম্য বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। কোথাও শেষ মুহূর্তে প্যান্ডেল প্রস্তুতির তোড়জোড়, কোথাও আবার পটুয়া পাড়া থেকে প্রতিমা আনার জন্য পাড়ার পুজো কমিটির সদস্যদের মধ্যে বাড়তি ব্যস্ততা। শহরজুড়ে আজ শুধুই পুজোর মরসুম।

২০২৪ সালের দুর্গাপুজোর দিনক্ষণ

মহাষষ্ঠী – ৯ অক্টোবর, বুধবার
মহাসপ্তমী – ১০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার

মহাষ্টমী – ১১ অক্টোবর, শুক্রবার

মহানবমী ও দশমী – ১২ অক্টোবর, শনিবার
