রাজ্যের দাবি মেনে বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পরেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি জানিয়ে পোস্ট করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। জানান, “আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে ভারত সরকার একটি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে।” জানুয়ারি মাসেই এই বিষয়ে দাবি জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি পাঠান মমতা। শুক্রবার, স্যোশাল মিডিয়ায় সেই চিঠির ছবি পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলার তথ্য নির্ভরযুক্তির জোরে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে। একই সঙ্গে এদিন পুজো উদ্বোধনে গিয়েও এই বিষয়ে খুশি প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বহুদিনের দাবি ছিল বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী মর্যাদা দেওয়া হোক। দীর্ঘদিনের সেই দাবি পূরণ হল। চলতি বছর জানুয়ারি মাসেই বাংলাকে (Bengali) ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নিজের ফেসবুক পেজে সেই চিঠি পোস্ট করেন মমতা। লেখেন
“এখানে(তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২৪) ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো আমার চিঠির একটি অনুলিপি দেওয়া হয়েছে যেখানে আমি বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিটি জানিয়েছিলাম। আমাদের তথ্য-ভিত্তিক যুক্তিগুলি অবশেষে জিওআই দ্বারা গৃহীত হয়েছে। চিঠিটি জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে নীচে দেওয়া হল। স্বীকৃতি অনেক বঞ্চনা-অস্বীকৃতির পরে আসে।“

এদিন পুজো উদ্বোধনে গিয়েও মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, আমরা অনের তথ্য-সহ গবেষণা পত্র কেন্দ্রের কাঠে পাঠিয়ে ছিলাম। বিশ্বে স্বীকৃত ভাষা হিসেবে পঞ্চম, এশিয়াতে দ্বিতীয় বাংলা। অন্যান্য ভাষা পেয়েছে, কিন্তু আমরা পাচ্ছিলাম না। বাংলাকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু গতকালই ধ্রুপদীভাষার স্বীকৃতি মিলেছে। এটা বিশ্বের দরবারে বাংলাকে আরও গৌরবান্বিত করবে-মত মুখ্যমন্ত্রীর।