রাজধানীর দূষণ সাম্প্রতিক অতীতে চরম রূপ নিল। একদিকে রাজধানী ঢাকল পুরু ধোঁয়াশায় (smog)। অন্যদিকে যমুনায় (Yamuna) জল দূষণের মাত্রা এতটা বেড়ে গেল যা পুরু ফেনার আকারে দেখা গেল যমুনায়। শুক্রবার দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই (Gopal Rai) দূষণের কারণ খুঁজতে বৈঠকের ডাক দিলেও আদতে শনিবার পর্যন্ত পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। ফলে যমুনায় দূষণ আরও বেড়ে ভয়াবহ চেহারা নিল।

শীত শুরু হওয়ার আগেই এবছর মাত্রা ছাড়াচ্ছে দিল্লির দূষণ (pollution)। প্রবল ঠাণ্ডার সময়ে কুয়াশার সঙ্গে ধোঁয়াশায় ঢেকে যাওয়া রাজধানীর গত কয়েক বছরের রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এবছর শীত আসার আগেই সেই ধোঁয়াশার আতঙ্ক। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের বায়ু দূষণের পরিমাপ করার চেষ্টা হলে দেখা যায় ১২টি জায়গায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই (AQI) ৩০০ ছাড়িয়েছে৷ এর মধ্যে সব থেকে খারাপ হয়েছে ওজিরপুরের (Wazirpur) পরিস্থিতি৷ দিওয়ালি যত এগিয়ে আসবে ততই খারাপ হবে রাজধানী দিল্লি সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশের বায়ু দূষণ, একথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন দিল্লি সরকারের পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই৷ শুক্রবার দূষণ নিয়ন্ত্রণে বৈঠক করেন মন্ত্রী।

তবে শুধু শহরের পরিবেশ নয়, যমুনার জল ঢেকেছে দূষিত ফেনায়। একদিকে শহরের বর্জ্য পদার্থ অন্যদিকে শহর লাগোয়া কলকারখানাগুলির দূষণে তৈরি হয়েছে পুরু ফেনা। যমুনার প্রবাহ পথের মাত্র ২ শতাংশ জায়গা জুড়ে রয়েছে দিল্লি শহর। তা সত্ত্বেও নদীর ৭৫ শতাংশ দূষণ এই দিল্লি থেকেই হয় বলে পরিবেশ দফতরের দাবি। এই দূষণের কারণ অতিরিক্ত অ্যামোনিয়া (ammonia) ও ফসফেট (phosphates)। এর ফলে তীব্র শ্বাসের সমস্যার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে রাজধানী জুড়ে।

শুক্রবারের বৈঠকের পরে যে ক্ষেত্রগুলি থেকে সব থেকে বেশি দূষণ হচ্ছে তা চিহ্নিত করার নির্দেশ দেন গোপাল রাই। যদিও তাতে মুখ বন্ধ করা যায়নি বিরোধীদের। রাজধানীর দূষণে আপ সরকারকেই দায়ী করেছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনেওয়ালা অভিযোগ করেন আপ সরকারের ব্যর্থতার কারণেই দিল্লির দূষণ মাত্রাছাড়া হচ্ছে৷ দিল্লি ক্রমেই গ্যাস চেম্বারে পরিণত হচ্ছে৷ দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে স্মগ টাওয়ার ব্যবহার না করে দূষণকে হাতের নাগালের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে দিল্লি সরকার। পাল্টা গোপাল রাইয়ের দাবি, বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় অতিরিক্ত ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানোর জন্য দূষণ বাড়ছে দিল্লির।
