Thursday, November 6, 2025

গরিব মানুষই দেশের করদাতা, ধনীরা দিচ্ছে মাত্র ৩ শতাংশ: বলছে সমীক্ষা

Date:

Share post:

দেশে ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি। বেকরত্বের জ্বালায় জর্জরিত দেশের ৫০ শতাংশ মানুষ। করোনা পরিস্থিতির পরে সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়া সেই নিম্নবিত্ত ভারতীয়ের ঘাড়ে বন্দুক রেখেই যে গোটা দেশের অর্থনীতি চলছে তা স্পষ্ট হল আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফ্যামের রিপোর্টে। ‘সার্ভাইভাল অফ দ্য রিচেস্ট: দ্য ইন্ডিয়া স্টোরি’ (Survival of the Richest: The India Story) শীর্ষক প্রতিবেদনে অক্সফ্যাম (Oxfam) দাবি করেছে, দেশের ৮০ শতাংশ আর্থিক ক্ষমতা যাঁদের হাতে, তাঁরাই মাত্র ৩-৪ শতাংশ জিএসটি (GST) দিচ্ছেন দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে। এমনকি করোনা পরিস্থিতিতে চরম আর্থিক বৈষম্য তৈরি হওয়ার পরেও এর পরিবর্তনের দিকে নজর দেয়নি ভারতের সরকার, দাবি রিপোর্টের।

আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফ্যাম (Oxfam)-এর দাবি, দেশের ৫০ শতাংশ গরিব মানুষ জিএসটি (GST)-র মাধ্যমে দেশের ভাঁড়ারে দিচ্ছেন দুই তৃতীয়াংশ। যা শতাংশের হিসাবে ৬৪.৩ শতাংশ। দুঃখের বিষয় বিভিন্ন পণ্য থেকে পরিষেবার মাধ্যমে সবথেকে বেশি জিএসটি (GST) দেয় দেশের সবথেকে নিম্নবিত্ত ৫০ শতাংশ নাগরিক। যাঁদের হাতে রয়েছে দেশের সম্পদের মাত্র ৪০.৬ শতাংশ। এমনকি মধ্যবিত্তের থেকেও তাঁদের অবদান বেশি।

ব্রিটিশ (British) সংস্থা অক্সফ্যাম ২১টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্মিলিত একটি সংস্থা। মূলত দারিদ্র দূরীকরণ ও আর্থিক সাম্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করে এই সংস্থা। অক্সফ্যামের (Oxfam) রিপোর্টে দাবি, যেখানে দুই তৃতীয়াংশ জিএসটি (GST) বহন করে দেশের দরিদ্র শ্রেণি, সেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণি জিএসটি-র মাধ্যমে ৪০ শতাংশ তুলে দেয় সরকারের ঝুলিতে। তবে সবথেকে হাস্যকর পরিস্থিতিতে দেশের সবথেকে অর্থবান ১০ শতাংশ, যাঁরা জিএসটির মাধ্য়মে সরকারের ভাঁড়ারে দেয় মাত্র ৩-৪ শতাংশ।

দেশের সম্পদের ৮০ শতাংশের বেশি ধারণ করছে বিত্তবান ১০ শতাংশ। অথচ মোদি সরকারের কর ব্যবস্থার এমন কাঠামো যে তাঁদের উপর থেকে করের বোঝা তুলে নিয়ে চাপানো হয়েছে দরিদ্র শ্রেণির উপর। অক্সফ্যামের রিপোর্টে দাবি, দরিদ্র শ্রেণির মানুষ ভারতের কর কাঠামোর কারণে পরোক্ষ কর (indirect tax) জিএসটির মাধ্যমে দিতে বাধ্য। এমনকি ২০২১-২২ সালে জিএসটির মাধ্যমে ভারত সরকার যেখানে ১৪.৭ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল, সেই অনুপাতে ২০২২-২৩ সালে সেই সংগ্রহ ১৮ লক্ষ কোটি টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু ধনবান শ্রেণির (richer class) উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর কম থাকায় সেই উপার্জন থেকেও বঞ্চিত হয়েছে দেশ, দাবি সমীক্ষায়।

spot_img

Related articles

সুপ্রিম নির্দেশে রাজ্যে ফের শুরু ১০০ দিনের কাজ, নবান্নে তৎপরতা তুঙ্গে 

প্রায় তিন বছর পর ফের রাজ্যে শুরু হতে চলেছে কেন্দ্রীয় ১০০ দিনের কাজ (এমজিএনআরইজিএ) প্রকল্প। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা...

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...